হাওড়া নন ফরেস্ট জোন হলেও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীর বসবাস এখানে। দামোদর নদীর চর বরাবর ১০ কিমি জুড়ে জঙ্গলে থাকে বাঘরোল, বনবিড়াল, হিমালয়ান ঝুঁটিহীন শজারু, গন্ধগোকুল, বিভিন্ন ধরনের সাপ, গোসাপ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের উদ্ধারও করা হয় বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু এরপরই দেখা দিচ্ছে কিছু সমস্যা। কারণ, এখন উন্মুক্ত বনাঞ্চল ক্রমশ কমছে। সেই সমস্যা মেটাতেই হাওড়া জেলা পরিষদ বন্যপ্রাণীদের অবাধে বিচরণের জন্য বনাঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
advertisement
হাওড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মানস কুমার বসু জানান, ” জেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর বন দফতরের তরফে বিষদে প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্য দফতরের অনুমতি মিললেই কাজ শুরু হবে। বনদফতর তিন বছর আগে থেকে উদ্ধার করা বন্য প্রাণীদের ওই এলাকায় ছাড়া শুরু করেন। তারা সেখানে সুস্থ হয়েছেন, সন্তানও জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি কিছু শজারু ও আরও কিছু বন্যপ্রাণী ছাড়া হয়েছে। সেখানে কোনও বন শিকারী নেই। মানুষের বসবাস নেই, তাই এই এলাকাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বনাঞ্চল তৈরীর জন্য।”
এই কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বাগনান কেন্দ্রের বিধায়ক অরুনাভ সেনের। জেলা পরিষদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই এলাকা সরকারিভাবে সংরক্ষিত হলেও অনেক পশু নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে এখানে বাস করতে পারবেন। এই উদ্যোগ দেশের মধ্যে মডেল হবে বলেও আশাবাদী হাওড়া জেলা পরিষদ।
পরিবেশপ্রেমী চিত্রক প্রামানিক জানান, এই এলাকায় বহু পশুপাখি আছে। রাজ্য প্রানী বাঘরোল, বনবিড়াল, সজারু, ভাম, শেয়াল-সহ প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি, কচ্ছপ, বহু প্রজাতির প্রজাপতি, কীটপতঙ্গ রয়েছে।
রাকেশ মাইতি