হ্যাম রেডিও সংকেতের মাধ্যমে হদিশ মেলে ওই মহিলার। তারপর স্থানিয় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয় নিখোঁজ নাগিনাকে। জানা যায়, বিহারের সীতামারি এলাকার বাসিন্দা নাগিনা ৭ বছর আগে হারিয়ে যান। এতদিন নিজের নাম ঠিক করে বলতে পারছিলেন না। বলতে পারছিলেন না বাড়ির খোঁজ বা পরিবারের সদস্যদের নাম। সাইক্রিয়াটিক ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। দিন-রাত মহিলাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে চিকিৎসকেরা। কিন্তু নিজের নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছিলেন না নাগিনা। ফলে তাঁর একপ্রকার স্থায়ী ঠিকানা হয়েছিল হাসপাতালেই।
advertisement
কিন্তু কিছুদিন আগে নিজের পরিচয়, ঠিকানা বলতে পারেন নাগিনা। এর পর ‘শিক্ষা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এবং হ্যাম রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে মহিলার কথা বিহারের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেন অপারেটররা। তাতেই মেলে সাফল্য।
রেডিওতে নাগিনার কথা শুনে তাঁর খোঁজে হাওড়া আসেন স্বামী ও ভাই। জানা যায় নাগিনা দেবীর ২ সন্তানও রয়েছে। এতদিন পর নিজের দিদিকে খুঁজে পেয়ে খুব খুশি ভাই। ছোটবেলায় মাকে হারায় নাগিনা, বাবাও অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। নিজের ভাইকে পেয়ে আনন্দে আটখানা নাগিনাও। নাগিনার ভাই শিবদয়াল পাসওয়ান এতদিন ধরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। হয়তো একদিন ফিরে পাবেন দিদিকে। অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ হল। দুই খুদেও খুঁজে পেল তাঁদের হারিয়ে যাওয়া মা’কে ।
রাকেশ মাইতি