পরিবারের কাজ সামলে ফুল, ফুলদানি, পেনদানি, ওয়াল হ্যাংগিং, গ্লাস পেইন্টিং, ফটো ফ্রেম এবং ঘর সাজানোর আরও কত কী নিজের মনে তৈরি করা। পুরনো সেই অভ্যাস বিয়ের পরেও রয়েছে। বর্তমানে আরও আকর্ষণীয় জিনিস তৈরি হচ্ছে গৃহবধূ পৌলমীর হাতে। বাড়িতে যে কেউ আসেন তাঁর হাতের তৈরি জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এবার সেই সমস্ত জিনিস মানুষকে পছন্দ মতো বানিয়ে দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন গৃহবধূ।
advertisement
হাওড়ার আন্দুলের পৌলমী ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করেন। এই কাজে পরিবেশ সচেতনতা ও সৃজনশীলতার বার্তা দেন। ফেলে দেওয়া কাগজ, বোতল, বা অন্য কোনও জিনিস ব্যবহার করে সুন্দর শোপিস, মোমবাতি, এবং অন্যান্য ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করেন। ফেলে দেওয়া জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে সুন্দর ও নতুন জিনিস তৈরি করার জন্যই পরিচিত তিনি। অর্থনৈতিকভাবে আজ স্বাবলম্বী পৌলমী।
বিভিন্ন বাতিল বা ফেলে দেওয়া সামগ্রী পুনর্ব্যবহার করে অসাধারণ কিছু শৈল্পিক পণ্য বানান পৌলমী যা দিয়ে সহজেই সাজিয়ে ফেলা যাবে ঘরের বিভিন্ন প্রান্ত। তাঁর এই শৈল্পিক কাজ করতে বাবা, মার পাশাপাশি তাঁর স্বামী,শ্বশুরবাড়ির সাপোর্ট রয়েছে বলেও জানান তিনি। পৌলমীর বাবা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী প্রদীপ কুমার ভট্টাচাৰ্য জানান, মেয়ের ছোটবেলায় আঁকার হাতেখড়ি তাঁর কাছেই। পাশাপাশি হাতের কাজের প্রতি মেয়ের আগ্রহ দেখে তাঁকে ভর্তি করেন হাতের কাজ শেখান।