প্রশ্ন জাগছিল সবার মনেই, একজন জিজ্ঞাসা করলেন কারণটা কী ? কথা বলে জানা গেলো যিনি পাঁচিলে উঠে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন তিনি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক | উত্তর হাওড়ার সালকিয়া বিদ্যাপীঠ ( প্রাথমিক )-এর প্রধানশিক্ষক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী | তিনি নিজের পকেটের কড়ি খরচ করেই ছাপিয়ে ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন-সহ বিজ্ঞপ্তি কখনও কারওর বাড়ির দেওয়াল, টোটো বা বাসের পিছনে পোস্টার আকারে লাগিয়ে বেড়ান |
advertisement
বর্তমানে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ বিস্তর | এছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের পঠন পাঠন নিয়েও অভিযোগ ভুরি ভুরি | তার পরেও সরকারি স্কুলে ভর্তি করানোর আর্জি নিয়ে প্রধানশিক্ষকের এমন প্রচেষ্টা যা প্রশংসার অনেক ঊর্ধ্বে | স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেল, সালকিয়া বিদ্যাপীঠের, প্রাথমিক বিভাগের প্রধানশিক্ষক বিশ্বজিৎ বাবু যখন থেকে স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন থেকেই এই স্কুলের ক্রমশ বেড়েছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা |
আরও পড়ুন : নজির গড়ল স্কুল, একসঙ্গে ১৮ জন পড়ুয়ার জন্মদিন পালন করলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা
শুধু পোস্টারই নয়, কোনও ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে স্কুলের পরে অনলাইনে তাকে সেদিনের স্কুলের পাঠও পড়িয়ে দেন | লকডাউনে সাইকেল চালিয়ে মিড ডে মিলের শুকনো খাবার ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছেও দিতেন | ছাত্রছাত্রী অসুস্থ থাকলে স্কুলের পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনে মিড ডে মিলের খাবার আজও পৌঁছে দেন তিনি |
আরও পড়ুন : মহম্মদবাজারে গুলিবিদ্ধ শিক্ষকের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে
সরকরি স্কুলের প্রতি মানুষের যে চিন্তাধারা তা বদলাতেই তাঁর এই উদ্যোগ, দাবি প্রধানশিক্ষকের | তিনি আরও বলেন, অনেক স্কুলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে, তাতে তার কোনও সমস্যা নেই। ইচ্ছেশক্তি বা নিজের দায়িত্ব পালনই তাঁকে এই কাজ করতে সাহস বা শক্তি যোগায় | স্কুল বাচঁলেই শিক্ষকরা বাঁচবেন, তাই নিজেকে বাঁচানোর আগে স্কুল বাঁচানোটাই ঠিক কাজ বলে মনে করি | বলছেন এই দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী।