ছোট থেকে বড়, সকলের জন্য আছে শাড়ি, সালোয়ার, ধুতি, পাঞ্জাবি, ফ্রক, জামা, প্যান্ট, গেঞ্জি সহ নানা পোশাক। পুজোর আবহে হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম দেউলপুর সাধারণতন্ত্রী দল কার্যালয় অফিস সংলগ্ন বাঁশ বাগানের ছায়ায় এই হাট বসেছে। মানুষ আসছেন, নিজেদের চাহিদা মতো পোশাক সংগ্রহ করছেন। খালি হাতে ফিরছেন না কেউ।
advertisement
দুর্গাপুজো মানে নতুন পোশাক পরে উৎসবে মেতে ওঠা। সেই দিক থেকে দরিদ্র পরিবার সদস্যরাও যাতে নতুন পোশাক থেকে বঞ্চিত না হন, সেকথা ভেবেই দেউলপুর গ্রামের গোপাল আদক নতুন পোশাক উপহার বা পোশাক হাটের উদ্যোগ নেন। এই পুজোর মরশুমে ছোট-বড় সকলের মনে খুশি জোগাচ্ছে বিনামূল্যের এই পোশাক হাট।
সাধারণতন্ত্রী দলের জনদরদি নেতা সুশীল কুমার মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবর্ষ থেকে মানুষকে পোশাক উপহার দেওয়ার কর্মসূচির সূচনা হয়। এবার ৩৬ তম বর্ষে দেউলপুর গয়লাডাঙায় সাধারণতন্ত্রী দলের কার্যালয়ে গাছতলায় চট পেতে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পোশাক। সেখান মানুষ আসছেন, নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক বেছে নিচ্ছেন।
ছোট-বড়, পুরুষ-মহিলা সহ হাজারও মানুষ এখানে পোশাক নিতে আসেন। ছোটরা বাবা-মা অথবা ঠাকুমা-দাদুর হাত ধরে এই হাটে পোশাক নিতে হাজির হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রায় দু’মাস আগে প্রস্তুতি শুরু করেন গোপালবাবু।
এই প্রসঙ্গে আয়োজক গোপাল আদক জানান, দেউলপুর, জালালসি, বলরামপুর, বহরিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বিনামূল্যের এই পোশাক হাটে হাজির হন। নতুন পোশাক পেতে যেমন একাংশ উৎসাহিত, তেমনই আরেকাংশ অতি উৎসাহের সঙ্গে বিভিন্নভাবে এই হাটের পসরা সাজাতে এগিয়ে আসেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র মাইতি জানান, মানুষকে নতুন পোশাক উপহার দিতে প্রায় ২-৩ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন গোপালবাবু। পোশাকের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষদের জন্য জলখাবারের আয়োজন করেন, যা সত্যি প্রশংসনীয়। ওনাকে দেখেই এই কর্মযজ্ঞে এগিয়ে আসা।