TRENDING:

স্কুল নয়, যেন দুঃখের কাহিনি! বৃষ্টিতে লাটে ওঠে ক্লাস, মিড ডে মিল খাওয়া হয় বই তুলে

Last Updated:

বৃষ্টি নামলেই শিকেয় ওঠে লেখাপড়া। মিড ডে মিলের খাবার খেতে হলে বই ব্যাগ তুলে, বসতে হয় ভাতের থালা নিয়ে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শ্যামপুর, হাওড়া, রাকেশ মাইতি: নদীর গ্রাসে স্কুল, ক্লাবের মধ্যেই চলছে পঠন-পাঠন! এক ঘরে চলছে চার ক্লাস। বেশ কয়েক বছর হল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরকারি স্কুল চলছে এককুঠুরি ক্লাব ঘরে। হাওড়ার শ্যামপুর ১ ব্লকের বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদীর পাড়ে স্কুল। তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তাই স্কুলবাড়ি ছেড়ে স্থানীয় ক্লাব ঘরে চলছে পড়াশোনা। বাসুদেবপুরের ভাগীরথী নদীর তীরেই চলছে স্কুল।
advertisement

তবে নদী ভাঙন ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্কুল মুখে। স্কুল ঘেঁষা বাঁধের রাস্তা অনেকটাই চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। পাশাপাশি স্কুলের কিছু অংশ বসে গিয়ে দেখা দিয়েছে ফাটল। তাতেই চিন্তা বেড়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে গ্রামের মানুষের।

আরও পড়ুন : হাত কাঁপে, চোখ ঝাপসা, তবুও পেট বড় দায়! এই বয়সেও থেমে নেই লড়াই! বৃদ্ধ যা করছেন, দেখে চোখে জল আসবে

advertisement

বছর চারেক আগে যে কারণে স্কুল ছেড়ে পড়ুয়াদের নিয়ে চলে আসেন পূর্ব বাসুদেবপুরের যুব শক্তি সেবা সমিতি ক্লাব ঘরে। সেই থেকে এক এক করে চার বছর পার। একটি ছোট বারান্দা ও অস্থায়ী রান্নাঘর নিয়েই চলছে বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক ঘরে গাদাগাদি করে একাধিক ক্লাস। বৃষ্টি নামলেই শিকেয় ওঠে লেখাপড়া। মিড ডে মিলের খাবার খেতে হলে বই ব্যাগ তুলে, বসতে হয় ভাতের থালা নিয়ে। কিছুদিন আগেই স্কুল চলাকালীন হঠাৎ বিষধর সাপের দেখা শ্রেণী কক্ষে। গ্রামের মানুষ এসে উদ্ধার করেন সাপ।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : মুম্বইকে টেক্কা! কোথাও গণেশ হাজির কৃষ্ণরূপে, কোথাও আবার নেহাতই শিশু! দেখতে হলে আজই বেরিয়ে পড়ুন

এমন নানবিধ সমস্যা নিয়েই চলে ক্লাস। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বহুবার জানান হলেও আজও মেলেনি সুরাহা। তবে সামান্য আশার আলো, কিছুদিন আগেই প্রশাসনের তরফে এসেছে আশ্বাস। জানান হয়েছে স্কুলের জন্য একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে এলাকায়। সবকিছু ঠিক থাকলে, খুব শীঘ্রই শুরু হবে স্কুলের নতুন ভবন তৈরির কাজ। এই খবর শুনে কিছুটা মনে বল পেয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিনা কর্মকার জানান, বর্তমানে স্কুলে ৬৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। সমস্যা অনেক, ফলে কয়েক বছরে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে। এ বিষয়ে শ্যামপুর ১ নং  ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তন্ময় কার্যী ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃন্ময় মান্না জানান এ বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে । স্কুলের জন্য দেখা হয়েছে জমি, খুব শীঘ্রই তৈরি হবে স্কুল ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্কুল নয়, যেন দুঃখের কাহিনি! বৃষ্টিতে লাটে ওঠে ক্লাস, মিড ডে মিল খাওয়া হয় বই তুলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল