TRENDING:

মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা, তারপরই...! সাক্ষী হাওড়া, বীর ক্ষুদিরামকে আঁকড়ে ধরে রাখতে নয়া দাবি বাসিন্দাদের

Last Updated:

বাগনান ব্লকের দেউল গ্রাম ক্ষুদিরাম বসুর মামার বাড়ি। সেখানেই সৎমা সুশীলাসুন্দরী দেবীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হাওড়া, রাকেশ মাইতি: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পদধূলি পড়েছিল হাওড়ার দেউল গ্রামে! এই গ্রামে ছিল তাঁর আত্মীয়তা। বাগনান ব্লকের দেউল গ্রাম ক্ষুদিরাম বসুর মামার বাড়ি। সেখানেই সৎমা সুশীলাসুন্দরী দেবীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। বীর বিপ্লবীর পদ স্পর্শ এবং তাঁর আত্মীয়তা এ গ্রামে বিপ্লবী ক্ষুদিরামের বসুর মূর্তি প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে।
advertisement

জানা যায়, অত্যাচারী ইংরেজ কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব এসে পৌঁছেছিল বিপ্লবী ক্ষুদিরামের উপর। সেই সময়ই সৎমা সুশীলাসুন্দরী দেবীকে দেখতে হাওড়ার দেউলগ্রামে হাজির হয়ে ছিলেন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। গোপনে ব্রিটিশদের কাছে সেই খবর। সৎ মামার বাড়িতেই ইংরেজ পুলিশের হাতে পাকড়াও হন ক্ষুদিরাম বসু। জানা যায়, ক্ষুদিরাম বসুর মা লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুর পর হাওড়া বাগনানের দেউল গ্রামের সুশীলাসুন্দরী ভঞ্জকে বিয়ে করেন ত্রৈলোক্যনাথ বসু। বিয়ের অল্পদিনের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ত্রৈলোক্যনাথ বসু। বাবার মৃত্যুকালে ক্ষুদিরাম বসু ৭-৮ বছরের শিশু।

advertisement

আরও পড়ুন: হাতের কাছেই সেই জায়গা, যেখানে মাতঙ্গিনী হাজরা ‘জীবন্ত’! ঘুরতে গিয়েও অনেকেই অজান্তে করে ফেলেন মিস

এদিকে স্বামীর মৃত্যুর পর বাপের বাড়ি হাওড়ার বাগনানের দেউল গ্রামে ফিরে আসেন সুশীলসুন্দরী। বেশ কয়েক বছর পর, সৎমাকে দেখতে রূপনারায়ণ নদীর পশ্চিম পাড়ে হাওড়ার দেউলগ্রামে মামার বাড়ি এসেছিলেন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর হাওড়ার দেউল গ্রামের সঙ্গে তার আত্মীয়তা এবং সেই গ্রামে আসার কাহিনী ভঞ্জ পরিবার এবং গ্রাম মনে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে ভঞ্জ পরিবারের গৃহবধূ গৌরীদেবী জানান, পুরনো সেই বাড়ি বা তাঁর কোনও অস্তিত্ব আজ টিকে নেই। কিন্তু বীর বিপ্লবীর গ্রামে আসার চিহ্ন বা স্মৃতি স্মরণে রাখতে চান গ্রামের মানুষ।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

অত্যাচারী ইংরে কিংসফোর্ড সাহেবকে হত্যা করার দায়িত্ব আসে তাদের উপর। নির্দেশ মত পরিকল্পনাও করে ফেলে ক্ষুদিরাম বসু সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা। পরিকল্পনা মতোই ইংরেজ সাহেবকে লক্ষ্য করে বা অনুসরণ করে বোম নিক্ষেপ করেন বিপ্লবীরা। কিন্তু প্রফুল্ল চাকী ক্ষুদিরাম বসুদের ছোঁড়া বোম থেকে প্রাণে বেঁচে যান কিংসফোর্ড। ঘটনার পর গা ঢাকা দেন ওই বিপ্লবীরা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম বসু। এরপর সাজা হয় ফাঁসি, ১৯০৮-র ১১ আগস্ট ফাঁসি হয় বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা, তারপরই...! সাক্ষী হাওড়া, বীর ক্ষুদিরামকে আঁকড়ে ধরে রাখতে নয়া দাবি বাসিন্দাদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল