পূর্ণম কুমার সাউ জানিয়েছেন, তাঁর সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা। তবে অভিজ্ঞতা যতই ভয়ানক হোক, তিনি একজন ভারতীয় সৈনিক। তাই দেশ সেবার কাজে যতই ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হোক না কেন, তিনি আবারও হাজির হবেন দেশ রক্ষায়। পূর্ণম জানিয়েছেন, তিনি যে এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবেন তা তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি।
আরও পড়ুন- সাগরে দানা বাঁধছে নিম্নচাপ! ঘূর্ণিঝড় নাকি তুমুল বৃষ্টি, কি বলছে হাওয়া অফিস
advertisement
শত্রু দেশের হাতে বন্দি থাকলে ঠিক কতটা ভয়ানক পরিস্থিতি হয়, তা সাধারণ মানুষের কল্পনা অতীত। তবে তিনি ভয় পাননি, বিচলিত হননি, বরং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন।
সেই সময় দেশে কী হচ্ছিল, কীভাবে অপারেশন সিঁদুর হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবরই পৌঁছয়নি। কারণ তিনি তখনও বন্দি। চোখ বেঁধে রাখা হত তাঁকে। একটি ঘরের মধ্যেই তিনি থাকতেন। সেখানেই কখন দিন হচ্ছে, কখন রাত, কিছুই বোঝা যেত না। তাঁর মনে ভয় ছিল, হয়তো আর জীবিত বাড়ি ফিরতে পারবেন না!
তিনি আরও বলেছেন, তাঁদের যখন ট্রেনিং হয়, তখন থেকেই তাঁরা জানেন, শত্রু দেশের সঙ্গেই মোকাবিলা করতে হবে। তাই মনের মধ্যে ভয় রাখা যাবে না। কারণ সেনারা ভয় পেলে সাধারণ মানুষ কী করবে! তাই মনের মধ্যে ভয় ছিল না, বরং ছিল পাকিস্তানের প্রতি ক্রোধ ছিল। তিনি আবারও সীমান্তে যেতে প্রস্তুত দেশের স্বার্থে। আবারও দেশের সীমান্তে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে পাকিস্তান সেনাদের সঙ্গে লড়াই করতে রাজি ভারতীয় বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম।
রাহী হালদার