রাইফুল হক জানিয়েছেন, প্রায় তিনশো লিটার আঁখের রস থেকে তৈরি হয় ৬০ কেজি গুড়। আগের তুলনায় লাভের পরিমান কম হলেও চালিয়ে যাচ্ছেন আখের রস থেকে গুড় বানানোর কাজ। প্রথমে আখ বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসা হয়। তারপরে মেশিনের মাধ্যমে রস বের করে চলে গুড় বানানোর কাজ। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই ভাবেই আঁকড়ে ধরে রেখেছেন আখের রস থেকে বানানো গুড়ের পদ্ধতি। আখের রস থেকে লোভনীয় গুড় তৈরির পদ্ধতিতে প্রয়োজন হয় জালের। মূলত আখের রস থেকে গুড় তৈরির সময় জাল দিতে হয় আখের রসকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীত পড়তেই আবার ম্যানগ্রোভে কোপ, ফাঁকা হচ্ছে সুন্দরবন! রায়দিঘিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা প্রশাসনের দারস্থ
তবে এই জাল দেওয়ারও রয়েছে এক ভিন্ন পদ্ধতি। গুড় ব্যবসায়ী রাইফুল হক জানান, আখের যে ছিবড়ে সেটিকেই জ্বালানির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ গঙ্গা জলেই গঙ্গা পুজো হয়। আখের রস বের করে সেই আখকেই ব্যবহার করা হয় জ্বালানির কাজে। তিনি আরও জানান, আখের সেই ছিবড়ে থাকে সেটাকেই তিন ঘন্টা জাল দিতে হয়। জাল দেওয়ার পরে সেটিকে একটা পাত্রে ঢালা হয় জমার জন্য। আর তারপরই তৈরি হয় সেই সুস্বাদু গুড়।
এই সুস্বাদু আখের গুড় মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির খোদাবন্তপুর থেকে যায় বিভিন্ন জায়গায়। আখের গুড় ব্যবসায়ী এও জানান, এই রস মূলত চানপুর, পাকুর, চাননিদোহা ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। যা বিক্রি হয় বেশ ভাল দামেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আর এক ব্যবসায়ী আকাশ আলীর তিনি জানিয়েছেন, গোটা বছর জুড়ে এই কাজ তাদের চলে না। মূলত বছরে অর্ধেক সময় কাজ এই করে তারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। শীতের মরশুম শুরু হতেই গুড়ের চাহিদা থাকে। যা চলে শীতের শেষ পর্যন্ত এমনকি ফাল্গুন মাসের শেষ পর্যন্ত এর চাহিদা থাকে।





