স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে কেন্দ্র থাকলেও অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ঘর ছিল না। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গ্রামের অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ঘর তৈরির। রানীবাধ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরআইডিএফ প্রকল্প থেকে ওই কেন্দ্রের ঘর তৈরি হল। যার ব্যয় বরাদ্দ প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। কংক্রিটের ওই কোচের মধ্যে তৈরি হয়েছে দুটি দরজা,ভিতরে মাঝে হলঘর ,একপাশে রান্নাঘর, একপাশে শৌচাগার । চত্বরে বসেছে নলকূপ। ব্লক প্রশাসন জানায়, আরআইডিএফ প্রকল্প থেকে রেল কোচের আদলে ওই কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। মডেল ছাড়াও এলাকার আকর্ষণীয় ওই কেন্দ্র খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হবে।
advertisement
বাসিন্দারা বলেন, গ্রামের বাচ্চা থেকে তাঁরা সকলেই খুশি। এলাকায় রেল যোগাযোগ নেই। সেই রেলপথ-সহ রেল দেখার স্বাদ মিটছে সকলের। ইতিমধ্যেই পাশাপাশি এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসুক মানুষজনের আনাগোনা বেড়েছে নারাণপুর গ্রামে। বাইরের প্রচুর মানুষ আসছেন। মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরও ভাল লাগছে তারা জানান।
বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের চিত্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই বাচ্চারা প্রথম বর্ণপরিচয় শেখে। বাচ্চারা যাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে পছন্দ করে সেই কথা ভেবেই রানীবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আকর্ষণীয়ভাবে রেলের কোচের আদলে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।
দেখলে মনে হবে কোনও রেল লাইনের উপর একটি রেলগাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে বাচ্চারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র যেতে আকৃষ্ট হবে বলেমনে করছেন অনেকেই। তবে এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু করা হয়নি। কবে থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী