আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনই ছড়াল হাতির আতঙ্ক! পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে ঘুরে বেড়াল দাঁতাল
স্বামী দীর্ঘ ছয়বছর ধরে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার খরচের কথা ভাবতে গিয়েই কুল চাষ শুরু করেন এই গৃহবধূ। এখন সেই কুলের চাষ করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। সফলভাবে কুলের চাষ করে ইতিমধ্যেই গ্রামে দৃষ্টান্ত গড়েছেন নারায়ণগড় ব্লকের বরদাই এলাকার কঙ্কনা মাইতি। তিনি ভারতসুন্দরী প্রজাতির কুল চাষ করে স্বনির্ভর হয়েছেন। সঙ্গে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন তাঁর মত গ্রামের আরও অনেক মহিলাকে।
advertisement
বাড়ি লাগোয়া কুড়ি ডেসিমেল জায়গাতে কুল চাষ করেছেন কঙ্কনা। সংসার সামলে নিজেই সব কাজ করেন। গতবছর বনগাঁ থেকে চারা এনেছিলেন। ১৩০ টি চারা লাগিয়েছেন। মোট খরচ হয়েছিল ২৫-৩০ হাজার টাকা। সেই বাগান থেকে বছরের শেষে ৩০-৩৫ কুইন্টাল কুল পেয়েছেন এই গৃহবধূ। প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেন। এই বছরও ইতিমধ্যেই কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতারা বাড়ি থেকেই কুল কিনে নিয়ে যান। তাঁকে কোথাও বিক্রির জন্য যেতে হয় না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কঙ্কনা মাইতির স্বামী দীপঙ্কর গত ছয় বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসা চলছে মুম্বইতে। অনেক খরচ। সেই খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক ছেলে, এক মেয়ে আছে। স্বামীর চিকিৎসা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, সংসার খরচ সামলাতে গিয়েই বাড়ির সাধারণ গৃহবধূ থেকে সফল কুল চাষি হয়ে উঠেছেন কঙ্কনা। তবে এখানেই তিনি থেমে নেই ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চান। আর তাই পাশের আরও একটি জায়গায় নতুন করে ৫০ টি কুলগাছের চারা লাগিয়েছেন। যা থেকে আগামী দিনে আরও বেশি ফলন পাবেন। সংসার সামলে চলে শিল্প চর্চাও। গিটার বাজানোয় বেশ পারদর্শী তিনি। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানও করেন। এই ‘দশভূজা’র লড়াই, জীবন কাহিনী আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে বাধ্য।
রঞ্জন চন্দ