অত্যন্ত সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের এই গৃহবধূ৷ পারিবারিক একটি বিশেষ কারণ বশত প্রথম ২০০৮ সালে ফুটপাত, রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড এবং অন্যত্র ঘুরে বেড়ান মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা নিরাশ্রয় মানুষদের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করেন। তবে তিনি একাই সংসার সামলে নিজে হাতে রান্না করে বেরিয়ে পড়তেন তাদের খাওয়াতে। ২০২১ সাল থেকে স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে সহযোগিতা করতে থাকে৷ ফলে একদিকে যেমন বেড়ে যায় সদস্য সংখ্যা অন্যদিকে খাবারের দেওয়ার সংখ্যাও। নাম দেন অন্নপূর্ণা সরাইঘর।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এখন দুপুরে প্রায় ১০০ জনের রান্না হয় তবে এই বিপুল পরিমাণে খরচ এর বেশিরভাগ যোগান দেন তার স্বামী, তিনিও হস্তশিল্পী তাই সেখান থেকে রোজগার পুরোটাই ব্যয় করেন এই মহৎ কাজে, তবে অন্যান্য আত্মীয় স্বজন তারাও মাঝেমধ্যেই হাত বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার। তাকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন মহিলারা অনেক সম্মান পেয়েছে। তবে সুরক্ষা বোধহয় এখনো মেলেনি পুরোপুরি। যেদিন নারীরা স্বাধীনভাবে রাতেও চলাচল করতে পারবে। সেদিনই স্বাধীনতার পূর্ণতা পাবে।
তবে নারী আমরা সব পারি এমনটা বিশ্বাস করেন না তিনি। মনে করেন পুরুষ এবং নারী একে অন্যের পরিপূরক। এক্ষেত্রেও তাকে সহযোগিতা করে থাকেন স্বামীসহ পরিবারের বেশ কিছু পুরুষ। আজকের দিনে তাকে সাধুবাদ জানাতে সুদূর হুগলি থেকে ছুটে এসেছেন একটি সামাজিক সংস্থার কর্ণধার পার্থ ঘোষ। এবং এগিয়ে এসেছেন আরো বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তারা। তারাও এইরকম এক ঘরোয়া সমাজসেবীর কর্মকাণ্ড দেখে তাকে শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানিয়েছেন।
Mainak Debnath