এর মধ্যে ন’টি পরিবার রয়েছেন, যাঁদের বাড়ির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। হেলে গিয়েছে দেওয়ালসহ ঘরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র। তাদের অভিযোগ, বাড়ির পেছনে থাকা ইটভাটার মালিক বেচা ঘোষ কিছুদিন আগে জেসিবি দিয়ে তাদের সীমানা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মাটি খুঁড়েছেন। আর তাতেই ধসে যাচ্ছে ভিটের মাটি। একাধিকবার জানানো হলেও ইটভাটার মালিক কোনওরকম ভাবে তাঁদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন না। উপরন্ত তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : বড় দুঃসংবাদ! পুজো বাতিলের ভাবনা ছোট কমিটিগুলির, মাথায় হাত শিল্পীদের! কে কলকাঠি নাড়ছে?
তাঁর ছেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার। ফলে পুলিশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলা হয়েছে, কম দামে জমি কিনে বসবাস করলে এই অবস্থা হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যখন মাটিকাটা হয়েছিল, তারপরে তিনি বাউন্ডারি ওয়াল করে দিলেও বর্তমানে সেই ওয়ালের নিচ দিয়ে মাটি ধসে যাচ্ছে। আর তাতেই ভিটেমাটি ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুণছেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ইটভাটার মালিক বেচা ঘোষ জানান, এর আগেও ওই পরিবারগুলিকে তিনি মাটি ফেলে সাহায্য করেছেন।
আরও পড়ুন : চোরের মাথায় ঘুরল উল্টোপথের বুদ্ধি! চুরি করে নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের… তারপর যা হল, জানলে মাথা ঘুরবে
তবে যে খালটি রয়েছে ,সেই খালটি বহু পুরনো। তিনি চেষ্টা করেছেন যাতে সেই সাধারণ মানুষগুলির সুবিধা হয়। কিন্তু যা অভিযোগ তাঁরা করছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জনবসতি উঁচুতে, আর তার ভাটা নিচু হওয়ার কারণেই জলে ধুয়ে নামছে মাটি। এক্ষেত্রে যারা বসবাস করছেন, তাদেরও রক্ষা করার দায়িত্ব থাকে। তবে তা না করে নানান অপমানসূচক কথাবার্তা বলার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় কাউন্সিলর বলরাম ঘোষ জানান, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই একাধিকবার ওই ইটভাটার মালিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানালেও কোনও রকম সুরাহা হয়নি। কাউন্সিলর নিজে অসুবিধার কথা জানাতে গেলেও, তাঁর কথায় কর্ণপাত করা হয়নি বলে অভিযোগ। বরং তাকে অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর। যদিও এই ঘটনায় শান্তিপুর থানা এবং পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।






