রসগোল্লা এমন এক মিষ্টি যার জন্য সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছিল দুই রাজ্যের মধ্যে। রসগোল্লা তুমি কার ! এই নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল ওড়িশাও বাংলার মধ্যে। অবশেষে ২০১৭ সালে রসগোল্লাকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জিওগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশন বুঝিয়ে দেয় রসগোল্লা বাংলার। এক মিষ্টি কে নিয়ে আইনি লড়াই যা ভুলবে না আপামর বাঙালি। এবার সেই কথাটি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আর একবার জগধাত্রী পুজোর যুবক সংঘের পূজা মণ্ডপ।
advertisement
পুজোমণ্ডপের বাড়তি পাওনা লাইভ রসগোল্লা তৈরি দেখা ও খাওয়া। একেবারে মণ্ডপের মধ্যে দর্শনার্থীরা যেমন মণ্ডপ দেখছেন ঠাকুর দেখছেন একইসঙ্গে সুযোগ পাচ্ছেন গরম তুলতুলে স্পঞ্জ রসগোল্লা ঠাকুর দেখতে এসে খাওয়ার। কারণ পুজো উদ্যোক্তাদের থিম অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে লাইভ রসগোল্লা কাউন্টার। যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা থেকে রাত পর্যন্ত চলছে রসগোল্লা তৈরি। খুব অল্প দামে সেই রসগোল্লা দর্শনার্থীরা এসে খেয়ে আবার বাড়ির জন্যেও নিয়ে যাচ্ছেন। অভিনব এই ভাবনা মন কেড়েছে দর্শনার্থীদের।
ঠাকুর দেখতে এসে বাড়তি পাওনা গরম গরম রসগোল্লা। পাঁচ দিন ব্যাপী জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রথম দিনে উদ্যোক্তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রসগোল্লা খাইয়েছেন সকল দর্শনার্থীদের। পরের দিন থেকে তা তারা বিক্রি করতে শুরু করেন। এখন প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি ছানার রসগোল্লা তৈরি করছেন ময়রারা। সেই রসগোল্লা কিনতে ভিড় জমছেও মণ্ডপে বহু দর্শনার্থীদের।
এই বিষয়ে পূজো উদ্যোক্তারা জানান, সম্প্রতি সময়ে যেভাবে ফাস্টফুডের দৌরাত্ম বেড়েছে সেখানে বাংলা ট্রেডিশনাল খাবার রসগোল্লাকে মানুষ ভুলতে বসেছে। তাই চাওমিন মোগলাই ফাস্টফুড ছেড়ে গরম রসগোল্লার দিকে মানুষের মন ও দৃষ্টি নিয়ে আসতে তাদের এই অভিনব প্রয়াস। পুজো উদ্যোক্তারা আরও জানান তারা প্রথমে মানুষকে বিনামূল্যে রসগোল্লা খাওয়াচ্ছিলেন তবে এত মানুষের ভিড় তাতে হয়ে যাচ্ছিল সেই কারণে তারা পরের দিন থেকে সেটিকে বিক্রি করতে শুরু করেন । তিনি আরওজানান মোট যে টাকা আয় হবে সেই টাকা দিয়ে তারা তাদের প্রতিবছরের যে সামাজসেবামূলক কাজ সেখানে ব্যয় করবেন।
রাহী হালদার