বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের পুরুষ বিভাগ কার্যত অসহ্য দুর্গন্ধে ভরে ওঠে। প্রথমে চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়রা কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। কিন্তু বেলা গড়াতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের শেষ প্রান্তে অবস্থিত স্টোর রুম খুলতেই বেরিয়ে আসে গা শিউরে ওঠা সত্য। সেখানে পড়ে রয়েছে একটি পচাগলা মৃতদেহ। যার নাম পরিচয় অজানা।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রমশ্রী প্রকল্পে এককালীন ও মাসে ৫০০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, দু’দিনে কত আবেদন জমা পড়ল?
ওই দেহটি অন্তত ৪-৫ দিন আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তীব্র পচনে গোটা ওয়ার্ডজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, রোগী, রোগীর আত্মীয় সবাই নাকে মুখে কাপড় বেঁধে নিজেদের মতো করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবার ওয়ার্ড ছেড়েও বাইরে চলে গিয়েছেন।
ঘটনা সামনে আসতেই ছুটে আসেন কাটোয়া থানার পুলিশ ও SDPO। তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে চেষ্টা করছেন মৃত ব্যক্তিটি আসলে কে। তিনি কি হাসপাতালেরই কোনও রোগী ছিলেন, না কি অন্য কোনও কারণে দেহটি এখানে এসে পড়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে দেহ কীভাবে এতদিন অগোচরে পড়ে রইল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: মুহূর্তে ধেয়ে আসবে ঝড়-বৃষ্টি, তোলপাড় হবে বাংলার ৭ জেলা! আবহাওয়ার বড় আপডেট
কাটোয়া হাসপাতালের সহকারী সুপার অবশ্য স্বীকার করেছেন, একটি ডেড বডি পড়ে রয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু হবে। অন্যদিকে, হাসপাতালের এক নার্স জানিয়েছেন, প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে দেখি ওখানে একটি দেহ পড়ে আছে। যেরকম গন্ধ বেরোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে অন্তত তিন-চারদিন আগের। সব মিলিয়ে, জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চিত্র ফের একবার নগ্ন হয়ে পড়ল এই ঘটনায়। হাসপাতালের ভিতরেই দিনের পর দিন একটি মৃতদেহ পড়ে রইল অথচ কারও চোখে পড়ল না! নজরদারি, প্রশাসনিক দায়িত্ব, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সব কিছু নিয়েই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।