স্থানীয়রা প্রথমে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। সেই সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মহেশতলা থানায় ও বজবজ ফায়ার ব্রিগেডে খবর দিলে মহেশতলা থানার পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পরে থাকতে দেখে সঞ্জয়ের মাকে। ওই মহিলার নাম বিজলী ঘোষ (৭০)। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন পুরকাইত জানিয়েছেন, “সঞ্জয়ও ঘরের মধ্যে ছিল ,আগেও ছেলেটি মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করত। আগে একবার পুলিশ এসেছিল। তবে এবার এই ঘটনা ঘটাবে যা কেউই ভাবতে পারিনি।”
advertisement
এই ঘটনা নিয়ে বজবজ ফায়ার স্টেশন অফিসার অমিত মণ্ডল জানিয়েছেন, “ঘটনার খবর পেয়েই তাঁরা উদ্ধার করতে ছুটে আসুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বর্তমানে। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। ঘরের মধ্যে ছেলেটি ছিল তাকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।” এই ঘটনার পর যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঠিক কেন এবং কিভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে মহেশতলা থানার পুলিশ। বিজলীদেবীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়রা এই ঘটনার সুষ্ট বিচার ও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
নবাব মল্লিক