অতনুর বাবা সঞ্জয় হালদার পেশায় একজন ভ্যানচালক। কোনক্রমে রুজি রুটির জোগার করতেই চলে যায় তার দিন। এর মধ্যে বিদেশের মাটিতে ছেলেকে খেলতে পাঠানো ছিল তাদের কাছে দিবা স্বপ্ন। তবে স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় অর্থ জোগার করে ছেলেকে খেলতে পাঠিয়েছিলেন বিশ্ব যোগাসনের দরবারে। সেখানে গিয়ে নিজের সেরা পারফরমেন্স দিয়ে দুইটি বিভাগের সোনার পদক জয় করেছে অতনু হালদার।
advertisement
দশম বিশ্ব যোগাসন চ্যাম্পিয়নের আসর বসেছিল ভিয়েতনামের হ্যানয়তে। সেখানেই ট্র্যাডিশনাল ও রিদিমিক যোগা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় অতনু। ভারতের হয়ে সে ছাড়াও মোট ১৬ জন অংশগ্রহণ করেছিল। শত আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সে দুটো পদক ছিনিয়ে আনে। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বারিক জঙ্গল রোডের পরিত্যক্ত কারখানায় থাকে অতনুর পরিবার। স্কুল, স্থানীয় মানুষের আত্মিক সহায়তায় ১০টি দেশের আড়াইশো জন প্রতিযোগীকে পিছিয়ে রেখে তার এই সাফল্য।
আরও পড়ুনঃ Rohit Sharma: চোট না দল থেকে বাদ? এলএসজি ম্যাচে রোহিতের না খেলা নিয়ে শুরু জল্পনা!
আগামী দিনে সে চায় ভারতের হয়ে একাধিক পদক জয় করতে। বৈদ্যবাটির বনমালী মুখার্জি ইনস্টিটিউশনের একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগে পড়ে অতনু। সম্প্রতি মেদিনীপুরে ৩৬ তম জাতীয় যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দিয়েছিল সে। সেখানে ভাল ফল করায় দশম বিশ্ব যোগাসনে জুনিয়র রিদমিক বিভাগে খেলার ছাড়পত্র মেলে। অতনুর সাফল্যে গর্বিত সকলেই।
রাহী হালদার