হুগলির এই ক্লাবের ভলিবল খেলেই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন একাধিক খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে এমনও কয়েকজন রয়েছে যারা ছেলের টিমের ক্যাপ্টেন, তাদের মধ্যেই একজন হলেন কুনাল দাস। গত বছর ভারতের অনূর্ধ্ব ১৮ দলের অধিনায়ক ছিলেন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপ খেলেছেন। এবার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে উজবেকিস্তান থেকে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতে ফিরেছেন।
advertisement
কুনাল জানান, “ভলি খেলে এখন চাকরি পাওয়া কঠিন। বাংলায় সুযোগ কম। আমি নিজে বাংলা ছেড়ে হরিয়ানায় ছিলাম এখন কেরলে আছি। যে খেলোয়াররা দেশের হয়ে রাজ্যের হয়ে খেলছে তাদের একটা চাকরির ব্যবস্থা হলে তারা নিশ্চিতে খেলতে পারে। কারন বেশিরভাগ ভলি খেলোয়ার নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আসে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সুষমা সাউ ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব থেকে ভলি খেলে ইস্টার্ন রেলওয়েতে চাকরি করছেন। তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে খেলা এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ের হয়ে খেলা। খুব কম বয়সে ছেলে চাকরি পেয়েছি এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সাফল্য আসবেই কঠোর পরিশ্রম করলে। ক্লাবের কোচের সহযোগীতা পেয়েছি অনেক।”
ভদ্রেশ্বরের ভলি খেলার চর্চা অনেক দিনের। বেশ কয়েকটি ক্লাব রয়েছে যেখানে অনেক ছেলেমেয়েরা ভলি খেলে। নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে এবার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব সেরকমই একটি ক্লাব। তবে ক্লাব চালাতে গিয়ে এখন সমস্যায় পড়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। এখানে যে সমস্ত ছেলেরা খেলাধুলা করে তারা বেশিরভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া ও আর্থিকভাবে সচ্ছ্বল নয় এমন পরিবার থেকে আসছেন। তাই খেলাধুলা চালান এখন ক্লাবের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবুও লোকজনের থেকে সাহায্য নিয়ে এখনও চলছে ছেলেমেয়েদেরকে খেলোয়াড় তৈরি করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার কাজ।
রাহী হালদার