প্রতি বছর ১৯ ও ২০ নভেম্বর ২০২৪, দুই দিন ধরে চলে তার বাৎসরিক অনুষ্ঠান। সেখানেই ভিড় জমান গ্রামের বহু মানুষ। শুধু আরামবাগ নয়, আরামবাগ পেরিয়ে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর থেকেও বহু মানুষ আসেন এই দিন রামকৃষ্ণদেবের মামার বাড়ি ভ্রমণ করতে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এই জায়গাতে তৈরি করেছেন রামকৃষ্ণ চন্দ্রামণি আশ্রম। প্রতিবছর এই দুই দিন এখানে উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। দূর দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের এখানেই বসে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
advertisement
এ বিষয়ে মিশন কর্তৃপক্ষ তারা জানান, ৯০ দশকে রামকৃষ্ণদেবের মামার বাড়ির পুনঃসংস্করণের কাজ শুরু হয়। সেই সময় এই বাড়ি থেকে ঠাকুর সৃষ্টির রামকৃষ্ণদেবের ব্যবহার করা বেশ কিছু আসবাবপত্র ও বাসনপত্র উদ্ধার করা হয়। সেগুলিকে বর্তমানে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে বেলুড় মঠে। ২০১৭ সালের এখানে পাকাপাকিভাবে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করা হয় রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে। তারপর থেকেই প্রতিবছর এই বিশেষ দিনে এখানে বাৎসরিক অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
এই বিষয়ে আরামবাগের সাংসদ মিতালী বাগ বলেন, রামকৃষ্ণদেবের কামারপুকুরের এর বাড়ি সম্পর্কে সকলের ধ্যান-ধারণা থাকলেও, আরামবাগেই যে ঠাকুরের মামার বাড়ি আছে, অনেকেরই কাছেই অজানা। তবে বছরের এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণদেবের মামার বাড়িতে প্রচুর মানুষ আসেন ঘুরতে। বেলুড় মঠের সমস্ত মহারাজরা এই দিন এখানে উপস্থিত হন। ধুমধাম করে মহা সমারোহে চলে পূজার্চনার আয়োজন।
রাহী হালদার