রাস উপলক্ষে সেজে উঠেছে শ্রীরামপুরের রাধা গোবিন্দ জিউ মন্দির। রাসের শেষের দিনে হয় ভোগ বিতরণের পালা। সেই ভোগ বিতরণ করার জন্যই একেবারে কর্মব্যস্ততা মন্দিরের রান্নাঘরে। মন মন চালের খিচুড়ি, তার সঙ্গে তরকারি পায়েস এবং আনুষঙ্গিক ভোগের সরঞ্জাম তৈরি করার জন্য নিযুক্ত হন দেড়শ জন রাধুনী। ৫০ টি উনুনে রান্না হয় প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষের অন্ন ভোগ। রাস পূর্ণিমার শেষের দিনে হয় এই ভোগের আয়োজন। সোমবার সকাল থেকেই ভোগের তোড়জন করতে শুরু করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
advertisement
১৫০ জন রাধুনি ৫০টি উনুনে সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অনবরত রান্না করে যান। কারণ পুজো উদ্যোক্তাদের মতে আজকের এই বিশেষ দিনে কোন ভক্ত মন্দিরে এসে ঠাকুরের ভোগ গ্রহণ না করে তারা যাবেন না। সেই কারণে প্রতি ভক্তকে ভোগ দান করার জন্য সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রান্নার তোড়জোড়। সবার প্রথম তৈরি হয় মালসা ভোগ।
প্রায় দেড় হাজার মালশা ভোগ তৈরি হয়েছে মন্দিরের মধ্যেই। পথ চলতি ৫০০০ মানুষকে ভোগ খাওয়ানো হয় পাতায় করে। একই সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ভোগ গ্রহণ করেন। এই বিশাল পরিমাণ ভোগ রান্না করার জন্য দেড়শো জন রাধুনিকে ভাগ করা হয়েছে তিনটি দলে। প্রতি দল নিজস্ব কাজে ব্যস্ত এই বিশাল ভোগ বিতরণের ভোগ রান্নার জন্য।
—- রাহী হালদার