স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলমুড়ি গ্রামের গৃহস্থের বাড়িতে তারা অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পান। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি পর তারা বুঝতে পারেন তাদের বাড়িতে এমন এক জীব রয়েছে, যার সঙ্গে কোনও ভাবেই তারা পরিচিত নন। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় চন্দন ক্লেমের সিং-কে। চন্দন গিয়ে তক্ষককে উদ্ধার করে আনেন। সোমবার চুঁচুড়া ফুলপুকুর এলাকার বন দফতরের অফিসে গিয়ে সেই তক্ষককে তুলে দেন বন দফতরের হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়োর জলে ওটা কীসের আওয়াজ! কাতরাচ্ছে বিষধর! হাওড়ায় যা ঘটল, দেখে ভয়ে শিউরে উঠল গোটা এলাকা
গিরগিটি প্রজাতির এই প্রাণী নিয়ে নানা ধরনের মত আছে। অনেকে মনে করেন, এই তক্ষকের রক্ত দিয়ে অনেক বহুমূল্য ওষুধ তৈরি হয়। আবার অনেকে মনে করেন, যৌবন ধরে রাখার ওষুধ তৈরি করা হয় এই বিশেষ প্রজাতির গিরগিটির শরীর দিয়ে। সেই কারণে তক্ষকের বহুমূল্যতা বেড়েছে। চোরা পাচারকারীদের কাছে এই বিশেষ প্রজাতির প্রাণী কোনও গুপ্তধনের থেকে কিছু কম নয়। পিঠের দিকে নীলচে ধূসর রঙ, সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। চোখ সোনালী, অপূর্ব সুন্দর দেখতে এই বিরল প্রজাতির তক্ষকটিকে।
চন্দন বলেন , তক্ষক গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতির প্রাণী। এই প্রাণী খুব কম দেখা যায়, তাই বিরল। তক্ষক নিয়ে অনেক প্রচলিত ধারনা আছে মানুষের। কেউ মনে করেন বাড়িতে তক্ষক থাকা অশুভ, আবার কেউ মনে করেন তক্ষক থেকে যৌবন ধরে রাখার ওষুধ তৈরি হয়। তাই বহুমূল্য এই প্রাণী। তবে প্রত্যেক প্রাণীর জীব বৈচিত্র্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই এই প্রাণীকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
— রাহী হালদার