তার গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে গত বছর অক্টোবর মাসে।স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে পরীক্ষা করান। অস্ত্রোপচার করাতে হবে জানান ওই চিকিৎসক।এরপর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে যায় তার পরিবার। চিকিৎসক তাকে চুঁচুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে ল্যাপারোস্কপি করেন গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪।পাথর বেরিয়ে গেলে ১ লা জানুয়ারী ছুটি দিয়ে দেন।বাড়ি গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।এরপর আবার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রোগীর পরিবার।চিকিৎসক তাদের জানান,অস্ত্রপচারের পর এরকম হতে পারে।সেলাই কাটার পর ঠিক হয়ে যাবে।আরও কয়েকদিন পর রোগির পেট ফুলতে থাকে।চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায়! হাড় মজবুত করে, বৃদ্ধিতে সহায়ক এই চার খাদ্য
চুঁচুড়া হাসাপাতালে দশ দিন ভর্তি থাকার পর ছুটি দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে আবার সমস্যা আবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। চিকিৎসক আবার নার্সিংহোমে ভর্তি হতে বলেন।নার্সিংহোম জানিয়ে দেয় তাদের সেই পরিকাঠামো নেই। তাই আবারও চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি।সেখানে যখন কিছুই হচ্ছে না রোগীর অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতাল তাকে কলকাতা রেফার করে। আনন্দপুরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।সেখানে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা চলতে থাকে।
নিজেদের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনের গয়না বন্দক দিয়ে টাকা জোগাড় করেন। কিন্তু তাতেও চিকিৎসার খরচ ওঠেনি।অবশেষে দিশেহারা হয়ে গিয়ে সঙ্গীতার ছেলে ও স্বামী মুখ্যমন্ত্রী,এবং হুগলি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে তাদের অবস্থার কথা জানান।আর তাতেই কাজ হয়। অবশেষে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছায়।নবান্ন থেকে হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয় সঙ্গীতা রাউত এর ডিসচার্জের ব্যবস্থা করতে হবে। অবশেষে নবান্নের তরফে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে কলকাতার হাসপাতাল থেকে চুঁচুড়ার বাড়িতে ফেরানো হয় সঙ্গীতাকে।মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সঙ্গীতা ও তার পরিবার।তারা ভাবতেই পারেননি এত কম সময়ে সারা পাবেন।
রাহী হালদার