স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈকত দাস বলেন, ”একটা ঐতিহাসিক নিদর্শন আমাদের স্কুল থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক বিশ্বরূপ দে পুরাতত্ত্ব নিয়ে চর্চা করেন। তিনি গুগল ঘেঁটে দেখেন এই মূর্তি গুপ্ত যুগের হতে পারে। তার কথা মতো আমরা ভারতীয় পুরাতাত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করি, ছবি পাঠাই। তারা দেখে জানান, এর ঐতিহাসিক মূল্য অনেক। খুব গোপনীয়তার সঙ্গে একে রক্ষা করতে হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের আজীবন কারাবাস, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা উঠতেই যা বললেন প্রধান বিচারপতি! নজরে ‘২৯’
স্কুল কর্তৃপক্ষ মূর্তি স্কুল বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নিতে পারেননি। এর আগে দু দুবার স্কুলে চুরি হওয়ায়, মূর্তি রাখা হয় সেফ ভল্টে। বুধবার ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের কলকাতা দফতর থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট আর্কিওলজি (কলকাতা সর্কেল) ডঃ সঞ্জয় পন্ডা ও প্রদীপ কর হরনাথ স্কুলে আসেন।
মূর্তি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পাশাপাশি যে জায়গা থেকে মূর্তি উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গাও ঘুরে দেখেন। আর্কিওলজিস্ট বলেন, এটা প্রায় হাজার বছর আগের মূর্তি হতে পারে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিষ্ণুর মূর্তি। এক সময় গঙ্গার গতিপথ এই এলাকা দিয়ে ছিল। এরকম অনেক মূর্তি ২৪ পরগনাতে পাওয়া গিয়েছে।
এই মূর্তি নিয়ে গিয়ে মিলিয়ে দেখা হবে। গবেষণা করা হবে। তারপর মূর্তির সময়কাল জানা যাবে। স্কুলের ভিতর থেকে এই ধরনের একটি ঐতিহাসিক নির্দশন উদ্ধারে উচ্ছসিত পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।





