জানা গিয়েছে, জল প্রকল্প নিয়ে গত শনিবার পুরশুড়া বিডিও অফিসে জেলা প্রশাসন একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরই পানীয় জলের প্রকল্প নিয়ে আরও তৎপর প্রশাসন। অভিযোগ, জল স্বপ্ন প্রকল্পের পানীয় জল অনেকেই বাসন ধোয়া, কাপড় কাচা সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। অনেকেই সেই জলের ট্যাপ খুলেই রেখে দিচ্ছেন। এই ভাবে জল অপচয় বন্ধ করতে, গোঘাটের রঘুবাটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে সচেতন করতে গোঘাট ১ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সম্রাট বাগচী সহ কমাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত প্রধান মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছান এবং তাঁদের জল অপচয় বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দোকান আছে নেই দোকানদার! ক্রেতারা এসেই বানাচ্ছেন চা…৩০০ বছরের প্রাচীন দোকানের আয় হয় কীভাবে?
অন্যদিকে সেই জল চুরি করে নেওয়ার অভিযোগে গোঘাটের বালি পঞ্চায়েত এলাকায় স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধিকারিকের উপস্থিতে পুলিশ অধিকারিকরা বেশ কিছু জল লাইনের পাইপ কাটেন। জানা যায়, বালি পঞ্চায়েত এলাকায় জল স্বপ্ন প্রকল্পের জল এক থেকে দোতলা বাড়ির ছাদে রাখা ট্যাঙ্কে তুলে নেওয়া হচ্ছিল। তার ফলে জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন বহু বাসিন্দা। অবৈধ সেইসব জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসন। যদিও এই জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে বন্যার সময় তারা চরম বিপাকে পড়বেন বলে সরব হন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে মৃত্যু চন্দননগর হাসপাতালের চিকিৎসকের! আতঙ্ক এলাকায়, সতর্ক হতে বলল প্রশাসন
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন যা পদক্ষেপ নিচ্ছে ঠিক আছে কিন্তু সারা দিনের যাবতীয় কাজের জন্য যে জলের প্রয়োজন সেটি তারা কোথা থেকে পাবেন! বাড়ির ট্যাংকে সবাই জল রিজার্ভ করে রাখে। সেই জল দিয়েই বাড়ির যাবতীয় কাজ চলে। এক্ষেত্রে পানীয় জলের আলাদা লাইন করলে দৈনন্দিন কাজের ব্যবহারের জন্য আলাদা জলের ব্যবহারের লাইন করে দিতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ জল পরিষেবা পান।
রাহী হালদার





