দুপুরে প্রভু জগন্নাথ দেবের ভোগ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। এরপর আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ, ৪ চারটে ২৬ মিনিটে হাজার হাজার ভক্তদের উল্লাস হর্ষধ্বনি এবং জয় জগন্নাথ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাহেশের জগন্নাথ মন্দির চত্বর, মন্দিরের চূড়ায় বসানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নীল চক্র, যা সুদর্শন চক্র নামে অপরিচিত। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মন্দিরের চূড়ায় স্থাপন করা হয় ওই নীল চক্র।
advertisement
পুরি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই নীল চক্র। যার ওজন ৮৩ কেজি। উচ্চতায় ৮.৩ ফুট এবং চক্রের পরিধি ৫.৫ ফুট। এই বৃহৎ অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি সুদর্শন চক্র সমস্ত জনগণের মঙ্গল কামনার জন্য স্থাপন করা হয়েছে মন্দিরের চূড়ায়।
এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে মাহেশ জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, পবিত্র অষ্টধাতুর তৈরি এই নীল চক্রটি মাহেশে আনা হয়েছে পুরীধাম থেকে, গত ১৫ দিন আগে । এই নীল চক্র আমি নিজে পুরীতে গিয়ে নিয়ে আসি।। ভক্তদের বিশ্বাস এই চক্রের ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে, এছাড়াও ভগবান জগন্নাথ দেবের ঐশ্বরিক শক্তির ফলে মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়টাও এই নীল চক্র বহন করে, কথিত আছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের চূড়ার আশপাশ দিয়ে কোন বিমান বা পাখি যাতায়াত করতে পারে না , প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদে নীল চক্র মন্দিরের নিরাপত্তা দেয়।
এছাড়াও এই নীল চক্র হচ্ছে মানসিক শান্তির প্রতীক যদি কোনওভক্ত এই নীল চক্রের দিকে তাকিয়ে মনেপ্রাণে প্রার্থনা করেন, তার মানসিক শান্তি আসবেই কোনও খারাপ চিন্তা মনে বাসা বাধেনা। তাই আজ আমরা মাহেশবাসী হিসেবে বিশেষ গর্ব অনুভব করছি, ভগবান জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা মায়ের মন্দিরের চূড়ায় নীল চক্র স্থাপিত হওয়ায়।
রাহী হালদার