ফেব্রুয়ারি ১৫ তারিখে যাত্রা শুরু, নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই সামিট করে নিজের লক্ষে অনড় হুগলির তরুণ শুভম চ্যাটার্জি ওরফে রনি। মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ও ভলকানো পাহাড় জয় করে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান শুভম। হাতে সময় অনেকটাই কম তাই বাড়ি ফিরেই আবারওপ্রস্তুতি নতুন সফরের।
advertisement
আফ্রিকার সফর কেমন ছিল সেই কথা বলতে গিয়ে শুভম বলেন, প্রথম দিন থেকেই পাহাড়ের শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ তিনি স্থির করেছিলেন। তানজানিয়া ন্যাশনাল পার্ক থেকে কিলিমাঞ্জারোর শিখরে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় ছিল ৭ দিন, তবে শুভম পিক সামিট করেন ছয় দিনের মধ্যেই । সব থেকে রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শুভম বলেন, সামিট করার জন্য রাতের বেলা তারা রওনা দিয়েছিলেন। শিখরে পৌঁছে দেশের পতাকা হতে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন তিনি। পর্বত জয়ের যে অভিজ্ঞতা শুভম অর্জন করেছে তা ভোলবার মতন নয়। এই বছরই তিনি আবার ইউরোপ সফরে বেরিয়ে পড়তে চান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সফর হয় ইউরোপ না হলে অস্ট্রেলিয়া।
এই বিষয়ে শুভমের পরিবারের সদস্যরা জানান, ছেলের জন্য তারা খুবই গর্বিত। তবে কিছু সময় তাদের দুশ্চিন্তাও হয়। বিশেষত যেই সময়ে তাকে ফোনে পাওয়া যায় না বা তার নেটওয়ার্ক থাকে না সেই সময়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তার মা-বাবারা। তবে পর্বত শৃঙ্গ জয় করে যখন ছেলে দেশের মাটিতে পা দেয় তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সপরিবারে পৌঁছে যান এয়ারপোর্টে।
রাহী হালদার