স্বামীর হুমকি ফোনে ভয় পেয়ে স্ত্রী আত্মীরের বাড়ি চলে যাওয়ার পথে রাস্তাতে তাঁকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রজব আলির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। হুগলির দাদপুর থানার বিলাতপুর এলাকার ঘটনা। মৃত মহিলার নাম মনজুরা খাতুন (২৮)।
আরও পড়ুনঃ ১২ বছরের সহবাস সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন! লিভ-ইন সঙ্গীর চোখে… রক্তাক্ত পরিণতি রাজপুরে
advertisement
স্থানিয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের পায়ড়াউড়া গ্রামে বাড়ি রজব আলির। মনজুরার খাতুনের বাপের বাড়ি ভদ্রেশ্বরের ন’ পাড়া এলাকায়। স্ত্রী মনজুরার সঙ্গে রজব দাম্পত্য সম্পর্ক সুখকর ছিল মোটেই। দুজনের মধ্যে অশান্তি ছিল চরমে। রজবের চোখের বিষ ছিলেন মনজুরা।
মনজুরার দাদা সেখ রফিকের অভিযোগ, দিন পনেরো আগে একবার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে মারধর করে রজব। মারধরের ঘটনা নিয়ে ভদ্রেশ্বর থানায় বধূ নির্যাতনের একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন মনজুরা। সেই থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। মহিলার অভিযোগের পর ভদ্রেশ্বর থানা থেকে রজবকে ডেকে পাঠানো হয়। থানায় অভিযোগ, পুলিশের সমন – এই সমস্ত কিছু ঘিরে রজবের মাথায় রাগ চেপে বসে। এরপরেই স্ত্রী মনজুরাকে ফোন করে রজব শাসিয়ে বলেন, ‘জেলে যখন যেতেই হবে, তোকে মেরেই যাবো।”
আরও পড়ুনঃ খুন নাকি আত্মঘাতী! মৃত্যুর চার মাস পর কবর খুঁড়ে বের করা হল গৃহবধূর ‘কঙ্কাল’, হবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত
হুমকিতে ভয় পেয়ে বাপের বাড়ি ছেড়ে মনজুরা তাঁর দুই সন্তান ও এক প্রতিবেশী মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে দাদপুর থানার হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতের জেটে গ্রামে মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন। বিলাতপুরের কাছে তাঁদের ধরে ফেলেন রজব। দুই সন্তান ও প্রতিবেশী মহিলাকে রজব নিজের বন্ধুর বাড়ি পাঠিয়ে দেন। মনজুরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে তাড়া করেন রজব। শেষে ধরে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। মারের চোটে মারা যান মনজুরা।
ওই প্রতিবেশী মহিলাই ফোন করে পরিবারকে খবর দেয়। রাতে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। দাদপুর থানার পুলিশ খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী রজব আলি। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।