এখানেই শেষ নয়, মন্দিরের পেছনের বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল গ্লাস-সহ খাবারের প্যাকেট। চুরি করবার আগে মন্দিরের পেছনে বাগানে বসে মদ্যপান করেছিল চোরের দল, এমনটাই অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ ৫ তলার ফ্ল্যাটে একগাদা ছাগল! দরজা খুলে হতবাক গোয়েন্দারা, সল্টলেকে কেঁচো খুঁড়তে মিলল কেউটে
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ভোর ৫:৩০ নাগাদ মন্দিরের পুরোহিত যখন মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করেন তখনই তার চক্ষু চড়কগাছ। মন্দিরের একাধিক ঘরের জানলা ভাঙা দেখতে পান তিনি। পুরোহিতের শোরগোলে স্থানীয়রাও চলে আসেন ওই জায়গায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ
স্থানীয় আশ্রমের একাধিক ঘরের জানলা দরজা ভাঙা, মন্দিরের প্রণামী বাক্স গায়েব, ঠাকুরের গায়ে থাকা সোনার উপর গহনাও উধাও। গোটা পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল চোরেদের দল রাতের অন্ধকারে এসে তাণ্ডব চালিয়েছে আশ্রমের ভেতরে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ থানাকে। কি কি মন্দির থেকে চুরি গেছে কত টাকার সামগ্রী মোট চুরি হয়েছে সেই সমস্ত কিছু মিলিয়ে দেখতে শুরু করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, আনুমানিক ২০,০০০ টাকা নগদ যা ছিল মন্দিরের অফিস ঘরের আলমারির ভেতরে তা সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। একইসঙ্গে ঠাকুরের গায়ে একাধিক সোনা, রূপোর গয়না ছিল প্রণামী বাক্স প্রতি যা ৬ মাস অন্তর খোলা হত, সেই টাকা ভর্তি প্রণামী বাক্স সবই নিয়ে পালিয়েছে চোর। যাওয়ার পথে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য মন্দিরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা ভেঙে হার্ডডিক্সটিও নিয়ে যায় চোরের দল।
রাহী হালদার