হুগলির গুপ্তিপাড়া বড়বাজার জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে তখন সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশ আর জনতা। অপর দিকে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুঠ পাট চেষ্টা চলছে। এই দৃশ্য শুধু মাত্র দেখা যায় উল্টো রথের আগের দিন গুপ্তিপাড়াতে। প্রায় শতাধিক স্থানীয় মানুষ গায়ে তেল মেখে জগন্নাথের প্রসাদ লুঠ করতে আসরে নামেন এদিন।যতক্ষণ না ভোগের মালসা হস্তগত করছেন লড়াই চলে ততক্ষণ। ভোগের মালসা নিয়েই পা বাড়ান বাড়ির পথে। ৮০০ ভোগের মালসা নিমিষে লুট হয়ে যায়। ভোগের প্রসাদ পান উপস্থিত ভক্তরাও।
advertisement
আরও পড়ুন: একই গঙ্গার ঘাটে বারবার দুর্ঘটনা, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হুগলির এই ঘাট
উল্টো রথের আগের দিন এই ভান্ডার লুট প্রথা চালু রয়েছে গুপ্তিপাড়ায়। গুপ্তিপাড়ার ২৮৫ বছরের প্রাচীন রথের বৈশিষ্ট্য হল ভান্ডার লুট। ভান্ডার লুটের পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনী, দ্বিতীয়ায় রথে চেপে মাসির বাড়ি আসেন প্রভু জগন্নাথ। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও গৃহে না ফেরায় লক্ষ্মী দেবী দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। মনে দুশ্চিন্তাও আসে। তিনি জগন্নাথকে ফেরাতে দূত পাঠান। বহু অনুনয়-বিনয়েও মাসির বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি নন প্রভু জগন্নাথ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দেবী লক্ষী নিজে চেষ্টা করেন, সরষে পোড়া জগন্নাথের গায়ে ছোঁড়েন। কিন্তু তিনি বিফল হয়ে ফিরে যান। উল্টো রথের আগের দিন জমিদার বৃন্দাবন চন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্র তারা দুজনেই সেই কথা জানতে পারেন। পরে তারা লেঠেল নিয়ে গুপ্তিপাড়া মাসির বাড়িতে লুটপাট চালান। ভাল ভাল খাবার না পেয়ে যাতে বাধ্য হয়ে প্রভু মাসির বাড়ির ত্যাগ করেন। সেই থেকেই চলে আসছে গুপ্তিপাড়ায় উল্টো রথের আগের দিন ভান্ডার লুট প্রথা।
রাহী হালদার