শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে নাসার ওয়েব পেজে বিখ্যাত সব বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তার নামও প্রকাশিত হচ্ছে। জানা যায় তৃতীয় শ্রেণী থেকে মহাকাশ সম্পর্কে জানতে তার ভাল লাগে। আর সেই সূত্রেই যোগাযোগ করে নাসা-র বিভিন্ন সিটিজেন প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইটে।কারওর যদি ইচ্ছা হয় তারা অংশগ্রহণ করতে পারে। এখানে যে সমস্ত প্রজেক্ট থাকে সেগুলো ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে হয়। আর সেখান থেকে আস্তে আস্তে কৃতিত্ব লাভ করে।
advertisement
আরও পড়ুন : দেশি ঘিয়ের ১৩.৫ লক্ষ লাড্ডু সাজানো থরে থরে! রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় স্টিলের পাত্রে প্রসাদের রকমফের
উল্লেখ্য,অনলাইনে বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরির কাজের মাধ্যমে ছোট্ট সঞ্চয়ন এই কৃতিত্ব লাভ করে। তার প্রিয় বিষয় জ্যোতির্বিদ্যা। আগামী দিনে সে ওই বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চায়। বর্তমানে আরামবাগের ইংরেজি মাধ্যম স্কুল সারদা বিদ্যাপীঠে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। দাদু হারুলাল সাহা পেশায় সবজি বিক্রিতা। মা সঞ্চিতা সরকার সাধারণ গৃহবধূ। নানা প্রতিকূলতার মাঝে ছেলেকে পড়াশুনা করাচ্ছেন। তার মাঝেও ছেলে যে এত বড় কৃতিত্বের পরিচয় দেবে তা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
এই বিষয়ে মা সঞ্চিতা সরকার বলেন, ‘‘আমি ভাবিনি এরকম একজন সন্তানের মা হতে পারব। সঞ্চয়নের যে এভাবে যে বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে নাম জড়িয়ে থাকবে, তা ভাবতেও পারিনি। আগামী দিনে সে পড়াশোনায় যতদূর যেতে চায়, আমি তাকে সাহায্য করব।’’
সবমিলিয়ে সঞ্চয়নের এই কৃতিত্বে গোটা মহকুমায় খুশির জোয়ার। পরিবার থেকে আত্মীয়-সকলে সঞ্চয়নকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠেছে।