সোমবার বিকেলে পূর্বস্থলীর স্টেশন সংলগ্ন টোটো স্ট্যান্ড এলাকার ওই ভবঘুরে মহিলার কাছে হাজির হন পূর্বস্থলী দু’ নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমিক বাগচি, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পূর্বস্থলী হাসপাতালে বিএম ওএইচ প্রশান্ত সরকার-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সকলেই বুঝিয়ে ওই মহিলাকে কালনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানোর জন্য উদ্যোগ নেন। কিন্তু বহুবার বোঝানোর পরও ওই মহিলা যেতে রাজি হননি। তার ফলে আপাতত তাঁকে ওই জায়গাতেই অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয় ব্লক প্রশাসন এবং বিধায়কের তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন : একশো বোমার শব্দেও নড়ল না কুলতলির বাঘ! ডাক পড়ল দমকলের
বিডিও সৌমিক বাগচি জানান, ‘‘ওই মহিলা মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত। তাঁকে বহুবার বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তিনি যেতে রাজি হননি। স্থানীয় মানুষ তাঁকে এখানে খেতে দিচ্ছেন। আমরা ওঁর কাউন্সেলিং করে যাতে ওঁকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা যায় তার ব্যবস্থা করব। আপাতত ওই জায়গায় তাঁর অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে কিছু শাড়ি এবং কম্বল দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন : মায়ের 'পরকীয়া', মাশুল গুনল শিশু সন্তান! আমডাঙার পুকুরে হাড়হিম কাণ্ড
প্রথমে এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে কুকুরের সঙ্গে এক আস্তাকুঁড়েতে ফেলে দেওয়া খাবার খেতে দেখেন। মোবাইলে ছবিও তোলেন অনেকে। তার জেরেই এই ছবি ভাইরাল হয়। বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘ওই মহিলা অভুক্ত ছিলেন। মানসিক ভারসাম্যও হারিয়েছেন। সে জন্যই তাঁকে ওই অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরাও তাঁকে খাবার দিয়ে দেখভাল করছি। প্রশাসনও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে।’’