ন্যাড়াপোড়া আছে, প্রায় কয়েকশো বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই এই উৎসব পালন করে ব্যানার্জী পরিবারের সদস্যরা। তবে পুরাণের অন্য একটি কাহিনিও এক্ষেত্রে প্রচলিত আছে। পুরাণে আছে, রাক্ষস সাজা হিরণ্যকশিপু তাঁর প্রজাদের পুজো অর্চনা করা বন্ধ করে দেন। অমরত্ব লাভের জন্য তিনি ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করেন। তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে পাঁচটি বর দান করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের বসন্ত উৎসবে মানুষের ঢল, দেখুন উৎসবের নানা মুহূর্তের ছবি
কথিত আছে, ছোট হোলি রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপু এবং তার পুত্র প্রহ্লাদের গল্পের সঙ্গে জড়িত। হিরণ্যকশিপু, যিনি অসুর রাজা নামেও পরিচিত, তিনি ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর এক মহান শত্রু। যদিও হিরণ্য কশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর একজন মহান ভক্ত। হিরণ্যকশিপু এটা পছন্দ করেননি। তিনি তার বোন হোলিকার সাহায্য চেয়ে তার নিজের ছেলেকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। ন্যাড়া পোড়ায় পিছনে লুকিয়ে আছে ভক্ত প্রহ্লাদের ভক্তির গল্প, যা মন্দের উপর ভালোর জয় হিসাবে দেখা হয়।
রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত ছিলেন, কিন্তু হিরণ্যকশিপু তা পছন্দ করতেন না। তিনি পুত্রকে নারায়ণের ভক্তি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রহ্লাদ রাজি হননি। হোলিকার এমন একটি পোশাক ছিল যা আগুনও পোড়াতে পারে না। হোলিকা প্রহ্লাদকে তার সঙ্গে আগুনে বসতে রাজি করান। অগ্নি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর কাছে তাকে রক্ষা ও রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করলেন। এই সময় ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদের প্রাণ রক্ষা পায় এবং হোলিকা দগ্ধ হয়।
হিন্দু পুরাণে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে হোলিকার পূজা করলে প্রত্যেকের ঘরে সমৃদ্ধি আসে। লোকেরা বিশ্বাস করে যে হোলিকা পূজা করার পরে তারা সমস্ত ধরণের ভয়কে জয় করতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে বসন্ত নিরাময় হয়ে থাকে বলে কথিত আছে। ন্যাড়াপোড়ার দিন নিয়ম করে পুজো চলে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে। ন্যাড়াপোড়া একটি নীতি যা একটি বনফায়ার মত। গোপাল কে নিয়ে চারিদিকে পরিক্রমা করা হয়। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষজন ।
কৌশিক অধিকারী