তবে কাঁসার বাসন কেনার ক্ষমতা কমেছে মানুষের। আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, স্টাইল এবং চাহিদা পরিবর্তন হয়েছে। সেই কারণে সাধারণ মানুষ ঝুঁকছে প্লাস্টিক এবং অ্যালুমিনিয়ামের দিকে। কারণ কাঁসার বাসন বানানো একটি সময়সাপেক্ষ এবং খরচ সাপেক্ষ ব্যবসা। প্রথমে মাটির ছাঁচ তৈরি করে রোদে শুকিয়ে, মেরামত করা হয় যাতে অনভিপ্রেত ছিদ্র না থাকে। এরপর ছাঁচের তলায় গর্ত তৈরি করা হয়। এবার সেই গর্তের মধ্যে কাঁসা দিয়ে সেটাকে শুকিয়ে পালিশ করে তৈরি করা হয়। কয়লা, পাঁচ থেকে ছয়জন কারিগর, এবং বিনিয়োগ মিলিয়ে প্রতি কেজি কাঁসার বাসন কিংবা ঘটি বানাতে খরচ হয় ১৩০-১৪০ টাকা। বাজারে ১৯০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয় এই বাসনগুলি।
advertisement
একসময় ২০০ পরিবার কাজ করত কাঁসার। শোনা যায় কামারপাড়া রাস্তা ভাটির ধোঁয়ায় ঢেকে থাকত সর্বক্ষণ। সেই দিন পাল্টেছে। ২০০ সংখ্যাটা নেমেছে ৪০ থেকে ৪৪ এ। দোকানের সংখ্যা ৮-৯ টা। এদিকে কাঁসার বাসন একটি ভাল বিনিয়োগ হতে পারে বলেই মনে করছেন শিল্পী ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী শিল্পী বগলা কর্মকারের মতে, কাঁসার বাসনের দাম সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে। ১০ বছর আগে কম দামে কেনা কাঁসার দাম বর্তমান সময়ে এনে দিতে পারে বেশ কিছু টাকা। তবে এই শিল্প বেশিরভাগটাই নির্ভর করছে সৌখিন উচ্চ মধ্যবিত্তের উপরে। কাঁসার চাহিদা এখন অতীত। সেই কারণেই বাঁকুড়ার কামারপাড়া এখন অনেকটা শান্ত।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী