এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ফাটলটি লক্ষ্য করে আতঙ্কিত হন। তাদের দাবি, ফাটল ছোট হলেও ক্রমশ বড় হচ্ছে, এবং ফাঁক দিয়ে জল ঢুকছে লোকালয়ে। দ্রুত মেরামতি না হলে যেকোনও সময় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে কয়েক হাজার বিঘা মেছোভেরি ও ধানক্ষেত। এলাকাবাসীরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : দেবীর ‘রুদ্র রূপ’ নয়, এবার দেখা মিলছে ‘জীবনদায়িনী’ রূপের! কাঁথির এই থিম চোখে জল এনে দেবে
advertisement
অন্যদিকে, মিনাখাঁ ব্লকের মোহনপুর অঞ্চলের পূর্বমোহনপুরের চড়পাড়া এলাকায় পূর্ণিমার ভরা কটালে গভীর রাতে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। প্রায় কুড়ি ফুট জুড়ে বাঁধ ধসে পড়ায় মুহূর্তের মধ্যেই প্লাবিত হয় মেছোভেরি ও নীচু এলাকা। সকালে ভাটা নামতেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা একযোগে বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেচ দফতরের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পরপর দুই এলাকায় বাঁধে ফাটল ও ভাঙনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সুন্দরবন জুড়ে। বছরের পর বছর নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটে এই এলাকার মানুষের। তাঁরা বলেন, “বাঁধ ঠিক না হলে ঘরও বাঁচবে না, ফসলও না।” জোয়ারের তোড়ে, ঝড়ের ধাক্কায় কিংবা অবহেলিত সংস্কারে, সুন্দরবনের মানুষের এই লড়াই যেন এখন প্রতিদিনের সঙ্গী।