আরও পড়ুন: ওটিটির জামানায় নাটক দেখতে ভিড় সীমান্তের নাট্যমেলায়
পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের দে পরিবার ছিল গ্রামের জমিদার। যদিও সেই জমিদারির সমাপ্তি হয়েছে অনেক আগেই। এই বাড়ির বর্তমান সদস্য হলেন হিমাদ্রী শঙ্কর দে। স্থানীয়দের কাছে তিনি টুটুল নামে পরিচিত। তিনি সম্পূর্ন নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করেছেন এক আশ্চর্য সংগ্রহশালা। বাবার স্মৃতিতে যার নাম রেখেছেন ‘শুভেন্দু মোহন দে ঐতিহাসিক সংগ্রহশালা’। এই সংগ্রহশালার মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা এখনকার সময় দুষ্প্রাপ্য। সংগ্রহশালার মধ্যে সংরক্ষিত জিনিস দেখতে বহু জনই আসেন বড়শুলের এই জমিদার বাড়িতে ।
advertisement
তবে কী কারণে হিমাদ্রীবাবু এই সংগ্রহশালা তৈরি করলেন সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এই বিষয়ে হিমাদ্রীবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , ছোট থেকেই তাঁর ডাক টিকিট সংগ্রহের নেশা ছিল । পরবর্তীতে তিনি দেখেন তাঁরই বাড়ির কিছু জিনিস পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি ভাবেন সেই জিনিসগুলো যদি ঠিকভাবে রাখা হয় তাহলে পরের প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। তাই ইতিহাস টিকিয়ে রাখতে তিনি বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় থেকে ষষ্ঠ জর্জের আমলের অনেক মূল্যবান দলিলপত্র তাঁর সংগ্রহশালায় রয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সংগ্রহশালার কিছু জিনিস হিমাদ্রীবাবু তাঁর বাড়ি থেকেই পেয়েছেন। আবার কিছু জিনিস বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। অনেকে বেশ কিছু জিনিস তাঁকে উপহারও দিয়েছেন। সংগ্রহশালার মধ্যে রয়েছে আছে দুষ্প্রাপ্য সব দ্রব্য সম্ভার যা অবাক করবে অনেককেই। সংগ্রহশালায় রয়েছে একটি অদ্ভুত চাল। যে চালের মধ্যে লেখা রয়েছে ১২০ টি অক্ষর। রয়েছে পুরানো দিনের বড় সাইজের তালা চাবি, তাল পাতার পুঁথি, ছয়টা লক বিশিষ্ট সিন্দুক, সুলতানি আমলের সিঁদুর কৌটো, বর্ধমান মহারাজের স্বাক্ষরিত চিঠি, বিদেশি আতর, মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি ফুলদানি সহ আরও অনেক কিছু।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী