এই মণ্ডপে ইলিশ সহ নদী ও সমুদ্রে ক্রমশ বিলুপ্ত হতে থাকা অন্যান্য মাছের খবরাখবর তুলে ধরা হয়েছে। উদ্যোক্তারা এই প্রসঙ্গে জানান, বছরের পর বছর ধরে খোকা ইলিশ ধরার প্রবণতা চলছে। ফলে ইলিশ বড় হতে পারছে না। প্রজনন কমে আসছে এবং ধীরে বিপন্ন হয়ে পড়ছে। যার জেরে বাজারে জোগান কমছে, দামও বাড়ছে। ইলিশের ভবিষ্যৎ বিপন্ন, মৎস্যজীবীরা বড় ইলিশ প্রায় পানই না। ইলিশ রক্ষার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। থিমের মাধ্যমে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই প্যান্ডেলে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবিকা, জীবনযাপন, লড়াই সহ মৎস্যজীবীদের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপে বিভিন্ন ধরণের ছবি, হাতে আঁকা চিত্র ও তথ্য সম্বলিত প্ল্যাকার্ড রয়েছে।
এই পুজো নিয়ে পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ দেবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে দর্শনার্থীরা মাছ ধরার জাল, ছোট নৌকা প্রভৃতি দেখতে পাবেন। থিম ও সাবেকিয়ানার মিশেলে এখানকার প্রতিমা তৈরি হয়েছে। এই বছর এই পুজো ৫৮ তম বর্ষে পা দিয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
‘বহমান’ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি মৎস্যজীবীদের জীবনের রূপক। তাঁরা চলেছেন। আজও চলছেন এবং কালও চলবেন প্রতিটি ঢেউয়ের সঙ্গে, প্রতিটি দুঃখের পাশে, প্রতিটি আশার আলোয়। শিল্পী সমীর রানা ও ঋত্বিকের ভাবনায় মণ্ডপে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে।