অসম সেই লড়াইকে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছে আশিক। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সংসারের গুরু দায়িত্ব মাথায় নিয়ে ফল বিক্রি করে সেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন আশিক হোসেন। পাঁচ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে বাবার। সংসারের একমাত্র রোজগেরে মানুষের মৃত্যু নড়বড়ে করে দিয়েছিল পায়ের তলার ভিত। বাধ্য হয়েই সংসারের জোয়াল কাঁধে তুলে নেয় সে। নগর বাজারেই ফলের ব্যবসা শুরু করে আশিক। শুধু মায়ের দায়িত্ব নয়, কাকা কাকিমার দায়িত্বও আশিকের। মা তুহিনা বেগমের একমাত্র সন্তান আশিক সমস্ত রকমের প্রতিকুলতা কে দুরে সরিয়ে রেখে, শুধু নিজের অদম্য ইচ্ছা কে কাজে লাগিয়ে পড়া করে চলেছে। মাটির বাড়ি, খড়ের চাল। দিন আনি দিন খাওয়া সংসারে আশিকই একমাত্র রোজগেরে ছেলে।
advertisement
আরও পড়ুন - অস্ট্রেলিয়া পেল জসপ্রীত বুমরাহ, বাঁহাতে ছোঁড়েন ইয়র্কার, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
ফল বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন হয় তাই দিয়েই চলে সংসার। আর তার লড়াই এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার। তার লড়াইয়ে পাশে পেয়েছে স্কুলের শিক্ষকদেরও। সারাদিন পরীক্ষার পর বিকেলে ফল বিক্রি, আর সন্ধ্যা হলেই বাড়ি ফিরে পড়াশুনো। আর্টস নিয়ে পড়লেও তার ইচ্ছা সেনা বাহিনীতে যোগদান করার। শুধু জন্ম দাত্রী মা নয়, দেশ মা -এর জন্যও অসীম ভালোবাসা আশিকের। তাই দুচোখ ভরে স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যতে দেশের হয়ে কাজ করার। স্বপ্ন সাকার হোক আশিকের। দেশের ভবিষ্যৎ এগিয় চলুক আশিকের হাত ধরে।
Koushik Adhikary
