তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দক্ষিণ বারাসতের বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা সৌরভ নস্করের সঙ্গে বকুলতলা থানার বেলে দুর্গানগরের বাসিন্দা লাবণী রায়ের দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। লাবণী বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশুনাতেও ভালো ছিল বলে জানা গিয়েছে। ১০ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই লাবণীর উপর শ্বশুরবাড়ির লোক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। লাবণীর মা ও কাকার অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
advertisement
সোমবার সকালেই লাবণীর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁদের কাছে খবর আসে যে লাবণী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে পদ্মের হাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শোওয়ার ঘরে লাবণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে তাঁর পরিজনরা জানতে পারেন। মেয়ের অকালমৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন লাবণীর বাড়ির লোকজন। মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দায়ী করেন লাবণীর বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁরা এ বিষয়ে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানালে জয়নগর থানার আইসি পার্থসারথি পালের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এসআই অলকেন্দু ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল। ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।