টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বনগাঁর বিভিন্ন এলাকা। ত্রাণ শিবিরেই আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। তারমধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও আছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া। কিন্তু বৃষ্টি না থামলে অবস্থার বিশেষ উন্নতি হওয়ার আশা দেখছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাছ ধরা যাচ্ছে না! এমনটাও হয়?
এলাকার কোথাও হাঁটু জল, কোথাও কোমর সমান জল জমে আছে। ফলে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। যাদের কাঁচা বাড়ি বা নদীর পাড়ে থাকে তাদের অনেকেই পরিবার সহ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তবে তাতে সমস্যা মিটছে না।
advertisement
রামনগর পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেরিয়া গ্রামের বিলচাতুরিয়া ফ্লাড সেন্টারে প্রায় ১৫ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পুরো গ্রামের প্রায় ৪০ টি পরিবার বন্যাদুর্গত পরিস্থিতিতে পড়েছে। ফ্লাড সেন্টারেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ বহু পড়ুয়া কোনরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়েছে, টিউশনও বন্ধ হয়েছে এই জল যন্ত্রণার জ্বালায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জলনিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার না হওয়ায় এই পরিস্থিতি। তাঁরা ইছামতি নদী সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে চারিপাশ জলমগ্ন হয়ে থাকায় এলাকায় দেখা দিয়েছে সাপের আতঙ্ক। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সর্দি-জ্বর ও ভ্যাকসিন সহ জরুরি ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে এই সব এলাকায়। বিলচাতুরিয়া ফ্লাড সেন্টার পরিদর্শন করেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
রুদ্র নারায়ণ রায়