তমলুক ডাউনটাউন এনক্লেভ ৩ মাসে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের। ৭ ব্লকের ২০৮১৭ বর্গমিটার বহুতল ভেঙে দিতে নির্দেশ। বেসমেন্ট ছাড়াই ৭ তলা বিল্ডিং। বেসমেন্ট + গ্রাউন্ড ফ্লোর-সহ ৫ তলা বিল্ডিং। এমন প্ল্যানের কথা বলা হলেও মানা হয়নি কোনও নিয়ম। নির্ধারিত আয়তনের বেশি বহুতল নির্মাণ হয়েছে। একাধিক অনিয়মে বিল্ডিং ভেঙে দিতে নির্দেশ। সেই সঙ্গে যারা ফ্ল্যাট কিনেছিল বা অ্যাডভান্স বুকিং করেছিল তাদের টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই বেআইনি নির্মাণ সংস্থা শহর ডেভলপারকে।
advertisement
আরও পড়ুন: নবদ্বীপের জলঙ্গি নদীতে ভেসে উঠল এ কী! পড়ে গেল লাফালাফি, তীব্র আতঙ্ক
আরও পড়ুন: চিকিৎসক থেকে প্রার্থী, শর্মিলা সরকারকে নিয়ে প্রতিবেশীরা কী বলছেন?
তমলুক শহরের এই বহু তলে বসবাস করে প্রায় ১৫২ টি পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে এই আবাসন ভেঙে দেওয়ার নির্দেশের খবর পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কিত আবাসনে থাকা বসবাসকারী মানুষজন। ওই আবাসনের এক ফ্ল্যাট মালিক ডক্টর সুদীপ্ত মাইতি জানান, তাঁরা আতঙ্কিত। মোট ১৫২টি পরিবার রয়েছে এই আবাসনে। হাইকোর্টের নির্দেশ শোনার পর ডেভলপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু ফোনে যোগাযোগ হয়নি। ফ্ল্যাট কিনে তারা বিপদে পড়েছেন। আর এক আবাসিক জানান, ফ্যাট তাদের নামের রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে এমনকি মিউটেশনেরও কাজ হয়েছে তারপরেও বেআইনিভাবে নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলার নির্দেশ তাঁদের আতঙ্কে ফেলেছে।
কলকাতা উচ্চ আদালত এই বেআইনি নির্মাণ তাম্রলিপ্ত পৌরসভাকে ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, অফিসিয়ালি পৌরসভা উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হবে। তিনি আরও জানান, এই কমপ্লেক্সটি তার মেয়াদকাল শুরু হওয়ার আগেই নির্মাণ হয়েছিল। ফলে পুরো বিষয় নিয়ে তিনি অবগত নন। প্রসঙ্গত গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া হয়েছে কলকাতার উচ্চ আদালত।
সৈকত শী