শুক্রবার স্ত্রীর সাধের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছেলের শ্বশুর বাড়ি হাঁসখালিতে গিয়েছিলেন, তাই কালীপুরের বাড়িতে নতুন ঘরে ছেলে ছিল একাই। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন গ্রিলের একটি তালা ভাঙা ঘরের তালা উধাও! বিছানার তলায় থাকা আলমারির চাবি এবং লকারের চাবি নিয়ে পাশাপাশি দুটি ঘরের দুটি আলমারি টেবিলের ড্রয়ার ওয়ার্ড ড্রপ সমস্ত কিছু তছনছ করে দুষ্কৃতীরা। সোনার দুটি আংটি মায়ের কানে দুল-সহ দুই আলমারিতে থাকা নগদ আট-দশ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ভোটের কার্ড আধার কার্ড সহ বেশ কিছু সরকারি কাগজপত্র প্রথমে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: একসঙ্গে হাঁটবেন মমতা-অভিষেক, এসআইআর প্রতিবাদে মঙ্গলবার শহরে মেগা মিছিল তৃণমূলের
আলমারিতে রাখা কাঁসা পিতলের বাসন, বহু পূর্বের ঠাকুরদাদার আমলের বেশ কিছু জমানো নানান ধরনের মুদ্রা না নেওয়া এবং তার থেকেও বড় বিষয় ঘরের বিছানা অগোছালো না করেই, চাবি নিয়ে আলমারি খোলা এবং মাত্র এক রাত্রি না থাকার কথা জানা এই সব মিলিয়ে পরিবারের অনুমান আশেপাশের কিংবা ঘনিষ্ঠ কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে তবে সিসি ক্যামেরার না থাকার কারণে তদন্ত বেশ কঠিন।
তবে খবর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে প্রতিবেশীদের দাবি স্থানীয় একটি দোকানে, গাঁজা বিক্রির কারণে অসামাজিক মানুষজনের ভিড় হয় রাতে যদিও পুলিশ প্রশাসন ওই দোকানে গিয়েও, জানতে চান বলেন তার সাধারণ চায়ের দোকান। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাত দশটার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানানো হয়।






