একরাত্রির বৃষ্টিতেই বেহাল হাসপাতাল চত্বর। জল থৈ থৈ অবস্থা ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে। হাঁটু সমান জল পেরিয়ে যেতে হচ্ছে রোগী এবং পরিজনদের। শুধু তাই নয়, স্ট্রেচারে রোগীকে শুইয়ে নোংরা জলের মধ্যে দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত। জরুরি বিভাগ সহ হাসপাতালের পুরো চত্বরই জলমগ্ন। জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের। হাসপাতাল এহেন বেহাল অবস্থায় ক্ষুদ্ধ রোগীর পরিজন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রসঙ্গত এর আগেও এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে সকলকে।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে কচু! শুধু এই প্রক্রিয়াটা জেনে রাখুন
সকাল থেকেই কালো মেঘে ছেয়ে আছে আকাশ। ভোর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। যে কারণে বেলদা থেকে কাঁথিগামী রাজ্য সড়কে ঠাকুরচক থেকে খাকুড়দা পর্যন্ত দুদিকে থাকা একাধিক মোটা মোটা গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তায়। স্বাভাবিকভাবে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অবরুদ্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দুদিকে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি, বাসও। পরে পুলিশ প্রশাসনের কর্মীরা এসে গাছ কেটে প্রায় দু ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জেসিবি দিয়ে তার সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ১ ব্লকের তালদা এলাকায় স্বল্পক্ষণের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয় এলাকা। ভেঙে যায় গাছ। গাছের ডাল ভেঙে বেশ কিছু ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকা। প্রশাসন এবং স্থানীয় মানুষজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিন বাজ পড়ে পুড়ে যায় একটি মাটির বাড়ি। শুক্রবার সকালে দাঁতনের বড়া এলাকার ঘটনা। অল্পের জন্য রক্ষা পায় পরিবারটি। জানা গেছে, এদিন সকালে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল বাজ। একসময় ঘূর্ণিঝড়ের মত দমকা বাতাস বইতে শুরু করলে পরিবারের সদস্যরা পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। তারপরই খড়ের চালের বাড়িটিতে হঠাৎই বাজ পড়ে। ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়িটি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পরিবারটি।
রঞ্জন চন্দ