চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের যাদবপুরে শিলাবতী নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে গ্রামে জল ঢুকছে। একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগান্তি। কৃষিজমিও জলে ডুবেছে। যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকলেই যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অগত্যা মাঠ দিয়ে গলা সমান জল পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত চলছে।
আরও পড়ুনঃ ঘুরতে গিয়ে বিপত্তি! জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে ঢুকছে নদীর জল, আতঙ্কে পর্যটকরা! ছবিতে দেখুন পরিস্থিতি
advertisement
জুন মাসে প্রথম ভয়াবহ বন্যায় মেদিনীপুরের এই যাদবপুর গ্রামে শিলাবতী নদীর চারটি বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন যাতায়াতের রাস্তা ভেঙে যায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নদীর জলস্তর বাড়লেই এই ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকত। সম্প্রতি যাদবপুর গ্রামে দু’টি বাঁধ মেরামতের কাজ সম্পন্ন হলেও দু’টি বড়সড় বাঁধে ভাঙন এখনও রয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে চন্দ্রকোনায় শিলাবতী নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। নদীর জল বাড়তেই যাদবপুর সহ আশপাশের ৭-৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের ফের ভোগান্তি শুরু হয়েছে। নদীর জল বেড়ে যাদবপুরে এখনও দু’টি ভাঙা বাঁধ দিয়ে হু হু করে গ্রামে ও মাঠে জল ঢুকছে।
ফের জলে ডুবেছে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি, জলের তলায় যাতায়াতের একাধিক রাস্তা। নদীর বাঁধের সঙ্গে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ঢালাই রাস্তা ছিল। সেটি প্রথম বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় প্রতিবারই নদীর জল বাড়লে যাদবপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। দ্রুত ভাঙা বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে অবশিষ্ট থাকা দু’টি ভাঙা বাঁধ মেরামতের জন্য প্রশাসনের আধিকারিকরা গেলেও বাঁধ মেরামতে বাধ সাধছে মাটি।
স্থানীয়রাই জানাচ্ছেন, মাটির সমস্যায় এই দু’টি বাঁধ মেরামত হয়নি। সেই সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত যাদবপুর গ্রামের দু’টি ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হোক চাইছেন বাসিন্দারা। এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন, ভাঙা বাঁধ অনেক জায়গায় মেরামত করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এখনও কয়েকটি ভাঙা বাঁধ রয়ে গিয়েছে, সেগুলি মেরামতের চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু মাঝেমধ্যে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় তা হয়নি। জল কমলে সেগুলিও মেরামত হয়ে যাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়া কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে বিডিও জানান, যাদের চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তাঁরা ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবিরে ফর্ম ফিলাপ করেছেন। আমরা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বলে দিয়েছি যাদের চাষের ক্ষয়ক্ষতি হবে তাঁরা যেন বিমার জন্য ফর্ম ফিলাপ করে তা মাইকিং করে জানিয়ে দেন। জলস্তর বাড়ছে, ডিভিসি থেকেও জল ছাড়া হচ্ছে, প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে জানান বিডিও।