গঙ্গা ও সাগরে মাছ ধরতে বের হয়েছেন অনেক নদিয়ার মৎস্যজীবীরা। সঙ্গে নৌকা ঠিক করে রাখার প্রস্তুতি চলছে অনেকে। এক নৌকা সারানোর মিস্ত্রি বলেন, “আমদের কয়েক মাসের জন্য কাজের চাপ থাকে প্রচণ্ড। বর্ষার আগে থেকে কাজ শুরু হয়। বংশপরম্পরায় এই কাজ করে আসছি।”
আরও পড়ুন: ভিটেমাটি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে নয়…! নেই খাবার, ওষুধ, বনগাঁর জলমগ্ন গৃহবন্দি ৭৩ পরিবারের কঠিন লড়াই
advertisement
তবে শাল কাট দিয়ে নৌকা সরালে খরচ লাগে ভালই। নদিয়ার অনেক মৎস্যজীবী তারা নতুন করে নৌকা তৈরি করে সাগরে নিয়ে যান তার খরচ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত। কিছু নিজের টাকা, কিছু ঋণ নিয়ে মহাজনদের কাছ থেকে নৌকা ঠিক করেন। প্রতিদিন মাছ ধরা শেষে পাইকারি মাছ বিক্রি করতে হয়। এই ভাবে জলের ওপর বিপদের ঝুঁকি নিয়ে যেমন চলতে হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপশি বন্যার সময় সাধারণ মানুষের জন্য এগিয়ে আসতে হয় তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করতে হয়। এক মৎস্যজীবী বলেন, “বর্ষায় সাগরে পাড়ি দিলেও মন পড়ে থাকে পরিবারের জন্য। নদী ও গঙ্গার ধারে বসবাসকারী বন্যার জল বাড়লে চিন্তা বেড়ে যায়। মাছ ধরতে বছরে ছ’মাস আষাঢ় শ্রাবণ বৃষ্টি বেশি হয়, সেই সময় চিন্তা বেশি থাকে।” নৌকা সারানো, নৌকা দেখভাল ভাল না রাখলে যখন তখন বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্মুখীন হতে হয়। তাই সবার আগে ফুটো নৌকা সারাতে ব্যস্ত মাঝিরা।
Mainak Debnath