দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সাগর পাড়ের প্রশাসন। দীঘার সৈকতে রবিবার সকাল থেকে সপ্তাহান্তের পর্যটকদের ভিড়ের চিত্রটা ছিল একেবারে আলাদা। সামান্য সংখ্যক মানুষের গতিবিধি দেখা গেল সৈকতে। তবে কাউকেই সমুদ্রের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। পর্যটকরা জানান, কার্যত মাছি গলার উপায় নেই দীঘার সমুদ্র সৈকতে। তাঁরা তাই দূর থেকে সমুদ্র উপভোগ করে হোটেলে ফিরে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও টানা মাইকে প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রতিনিয়ত সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদের। দীঘা ছাড়াও ছবিটা কিছুটা একই তালসারি, মন্দারমণিতেও। সেখানেও পর্যকদের সমুদ্রের কাছে যাওয়ার কোনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। দুপুর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবারে। ডায়মন্ডহারবারের নদী কেন্দ্রীক এলাকায় নিয়মিত সাবধানবানী জানিয়ে প্রচার করছে প্রশাসনও।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ, নতুন আক্রান্তের সন্ধান দিল্লিতে
আবহওয়া দফতরের খবর অনুসারে, রবিবার ও সোমবার রাজ্যে চলবে বৃষ্টির দাপট। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার ফলেই এই বৃষ্টির দাপট বেড়েছে বলে খবর। শহরে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে গাছ কাটার কর্মী, নিকাশি কর্মীরা প্রস্তুত থাকছেন সব সময়। খোলা রয়েছে পুরসভার কন্ট্রোল রুমও।
আরও পড়ুন: শক্তি হারিয়েও কতটা মারাত্মক জাওয়াদ? কী ঘটতে চলেছে বাংলায়?
রাজ্যের বাইরে ওড়িশার পুরীতে স্থলভাগ ছোঁয়ার কথা ছিল জওয়াদের। তবে ঘূর্ণিঝড় থেকে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সেই অংশে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। রবিবার বিকেলেই হয়ত অতিগভীর নিম্নচাপ হয়ে প্রবেশ করবে জওয়াদ। সেই কারণে পুরীর সৈকতেও কড়া নজরদারি চলছে প্রশাসনের। পর্যটকদেরও বিশেষ ভিড় নেই, কারণ আগে থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল প্রশাসন। সেই সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। আপাতত পুরীর কাছেই রয়েছে জাওয়াদ।