আরও পড়ুন: টিনের নৌকায় পাট বোঝাই করে ফিরছিলেন দুই ভাই, বন্যা কবলিত এলাকায় নৌকা উল্টে নিখোঁজ
ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারীবৃষ্টির ফলে আতঙ্কেই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা। কবে কুয়ে নদীর বাঁধ পোক্ত হবে, উন্নত প্রযুক্তিতে স্থায়ীভাবে বাঁধা হবে নদীর বাঁধ, কবেই বা জল ঢোকা বন্ধ হবে গ্রামের পর গ্রামে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিধ্বস্ত হওয়া গ্রামবাসীরা। দুর্ভোগের কারণে লাভপুরের ঠিবা, জামনা, ইন্দাস, কুরুন্নাহার-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের ফের চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে।
advertisement
আচমকা বলরামপুর ও কাঁদরকুলা গ্রামে ধারে থাকা কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে গ্রামে। প্রশাসনের সহযোগিতায় ত্রাণ ত্রিপল খাবার পেয়ে সকলেই আবারও আতঙ্ক কাটিয়ে নতুনভাবে বসবাস শুরু করে। এর মধ্যেই অতিবৃষ্টির দুর্যোগের অশনি সংকেতে আবারও জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সকলের মধ্যেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়,আজ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়ার উন্নতি হলেও পুনরায় দু তারিখ থেকে লক্ষ্মীপূজো পর্যন্ত ভারী মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।টানা বৃষ্টির ফলে অজয় নদের উপর জয়দেবের ফেরিঘাট ভেঙে বিপত্তি হওয়ায় তড়িঘড়ি নির্মাণ প্রশাসনের।
ইলামবাজার জয়দেবের ফেরিঘাট ভেঙে গেলে প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুত গতিতে ফের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অন্যদিকে লাভপুরের বলরামপুরের বাঁধ নির্মাণেরও কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই জেলার শাল নদীর উপর সেতু, ইলামবাজার থেকে পাড়ুই যাবার রাস্তা শাল নদীর উপর গোলটিয়া সেতু জলের তলায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ফের দুর্যোগের ঘনঘটা দেখে আশঙ্কায় সকলে।
সৌভিক রায়