তাপপ্রবাহজনিত কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মুখে পড়ছেন অনেকেই। নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাথা ব্যাথা, গা গুলিয়ে ওঠা ছাড়াও আশঙ্কা থাকছে সান স্ট্রোকের। আর যাদের একান্তই বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের বেলা দশটার পর থেকে মুখ চোখ উন্মুক্ত করে রাস্তায় বেরোনো দায়। শরীরে অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড উত্তাপ। যেন গরম চুল্লির মধ্যে ঢুকে গেছে সমগ্র জেলা।
advertisement
আরও পড়ুন: কী কাণ্ড! এ যেন সিনেমা... তরতর করে হাজার ফিট উঁচু জলের ট্যাঙ্কিতে চড়ে বসলেন মহিলা! তারপর?
এ বিষয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডক্টর সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানান, এই গরমে নতুন সংযোজন হয়েছে পেটের সমস্যা। তাছাড়াও আশঙ্কা থাকছে মারণ সানস্ট্রোকের এবং সান ক্রাম্পের।
যথাসম্ভব উন্মুক্ত শরীর ঢেকে রাস্তায় বেরোতে হবে। নিজের জল নিজেকে বহন করতে হবে যাতে রাস্তার জল পান না করতে হয় এবং ঘনঘন ওআরএস পান করতে হবে। যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে যাতে সূর্যের রোদ কোন ভাবে শরীরে না লাগে।
এই মুহূর্তে গরমে শারীরিক সমস্যা নিয়ে কেউ ভর্তি না হলেও মেডিকেল আউটডোরে গরম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে জমা হচ্ছেন রোগীরা। সার্বিকভাবে বাঁকুড়া জেলায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ। তারমধ্যে আরও বাড়বে উত্তাপ এমনটাই জানা যাচ্ছে। তাই নিজেদের রক্ষা করার জন্য বেলা দশটা এগারোটার পর থেকেই গৃহবন্দি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়