পড়ুয়াদের দাবি, মাঝেমধ্যেই এই সমস্যা হয়। তখন তারা ক্লাসরুমেই থাকে। ছুটি হলে নিজেরাই বাড়ি চলে যায়। নাহলে ছেলে-মেয়েরা স্কুলের চারিদিকে খেলাধূলা করে।
এ নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, “স্কুলে প্রধান শিক্ষক, করণিক, গ্রুপ ডি স্টাফ কিছুই নেই। এই সমস্ত কাজগুলি করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। আর যার জেরে পঠনপাঠন লাটে ওঠার জোগাড়। পড়ুয়াদের অনুপাতে শিক্ষক না থাকার ফলে প্রতিদিনই ক্লাস হয় না। মাঝেমধ্যে এমন অবস্থা হয় একজন শিক্ষককে সমস্ত দিন একটি ক্লাস নিতে হয়। দিনের পর দিন ক্লাস না হওয়ার ফলে তাদের পড়াশোনার ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে সঙ্গীকে নিয়ে যান এই জায়গায়! কাপল ফ্রেন্ডলি দ্বীপে জমে উঠবে প্রেম
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই সঙ্গে রয়েছে জলের সমস্যা। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে তাদের দাবি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর দুই নং ব্লকের কৌতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইস্তারনপুরে ১৯৫২ সালে কল্যাণী পদ হাই স্কুলটি স্থাপিত হয়। ধাপে ধাপে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৫০ জন। শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ১১ জন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক না থাকার ফলে স্কুলটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে নেই করণিক ও গ্রুপ ডি কর্মী। সব মিলিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি। গ্রুপ ডির কাজকর্মগুলো সামলাতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষক না থাকার ফলে ক্লাস নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তারা।
স্কুলের এই শিক্ষক সংকটের কথা মেনে নিয়ে স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি সঞ্জীব সরকার জানান, “স্কুলে প্রধান শিক্ষক, মেট্রন ও ক্লার্ক নেই। যে কয়েকজন শিক্ষক রয়েছে তারাই সব কাজ করছে। স্কুলে এমনিতেই শিক্ষক কম রয়েছে। তার উপর শিক্ষকদের আনুসাঙ্গিক আরও অন্যান্য কাজ করতে হচ্ছে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সঠিকভাবে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছেনা।” এইভাবে চলতে থাকলে একসময় স্কুল চালানোই দুরূহ ব্যাপার হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বারবার সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক এখন এটাই চান তাঁরাও।
নবাব মল্লিক





