জানা গিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট রাতের দিকে বীহারিয়া এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় শকুন্তলা দেবীকে। তার বাড়ি বিহার রাজ্যের পাটনা জেলার মনির থানার আদল চকে। মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি নিজের পরিচয় স্পষ্টভাবে জানাতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন : হঠাৎ খিঁচুনি, রাস্তায় কাতরাচ্ছিল শিশুটি! দেখতে পেয়ে যা করলেন আধিকারিক, জানলে অবাক হবেন
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলাকে উদ্ধার করে তার পরিচয় জানতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান হরিহরপাড়া থানার এএসআই মোঃ রেজাউল্লা। ধৈর্যশীল ও মানবিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবশেষে তার গ্রামের নাম জানতে পারলে, সেখান থেকেই শুরু হয় পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ। গুগল থেকে পাওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে পাটনার পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন : সামান্য বৃক্ষরোপণ নিয়ে কংগ্রেস বনাম তৃণমূল! অশান্তি গড়াল হাতাহাতিতে, স্তম্ভিত স্থানীয়রা
জানা যায়, শকুন্তলা দেবী এক মাসেরও বেশি সময় আগে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে শিব মন্দিরে জল ঢালতে এসে হারিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি একই পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে মানবিক উদ্যোগ নিয়ে নতুন শাড়ি পরিয়ে তার যত্ন নেওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অবশেষে তার স্বামী পুনিত রায় হরিহরপাড়া থানায় আসেন, পুলিশ শকুন্তলা দেবীকে তুলে দেয় তার হাতে। পুলিশের এহেন উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের এই তৎপরতা আবারও প্রমাণ করল, আইনের পাশাপাশি মানবিক দিক থেকেও অসহায় মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ।