ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীসাগর এলাকায় তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মীসাগর ইকোহাট নামের একটি গ্রামীণ ছোঁয়ার হোমস্টে ও চিলড্রেন পার্ক। যেখানে বাচ্চাদের খেলার জন্য রয়েছে নানা সামগ্রী এবং সেগুন বাগানের মধ্যে সময় কাটানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার জায়গা।
সবচেয়ে বড় পাওনা হিসেবে থাকছে লক্ষ্মীসাগর ইকোহাটে ঢোকার সময় বড় দুটি জলাশয় রয়েছে। যেখানে বোটিং করতে পারবে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। হাতে একটু সময় নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দারাও ঘুরে আসতে পারে এই লক্ষ্মীসাগর ইকোহাট থেকে। বাচ্চাদের মন যেমন আনন্দে ভরে উঠবে ঠিক মনোরম পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটালে মন প্রাণ চাঙ্গা হয়ে উঠবে বড়দেরও।
advertisement
পর্যটকদের জন্য বিশেষ চমক হিসাবে থাকছে নিজস্ব বাগানের সবজি, পুকুরের মাছ, দেশি মুরগি ও হাঁসের মাংস। পর্যটকেরা যা খেতে চাইবে তা কিন্তু নিজেদের খামারবাড়ি থেকেই পাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয় সামনেই রয়েছে লক্ষ্মীসাগর ইকো হাট। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোজা চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। ঝাড়গ্রাম থেকে দহিজুড়ি রুটের গাড়ি ধরে প্রায় ৪ কিলোমিটার যাওয়ার পরেই পড়বে জুয়ালভাঙ্গা। জুয়ালভাঙা থেকে বাদিকে ৫০০ মিটার এগোলেই ডান হাতে চোখে পড়বে লক্ষ্মীসাগর ইকোহাট। ব্যক্তিগত গাড়িতে হলে পৌঁছন আরও সহজ হয়।
গ্রামীণ ছোঁয়ার এই মনোরম পরিবেশে যে সমস্ত পর্যটকরা জঙ্গলমহল বেড়াতে এসে রাত্রিযাপন করতে চান, তাঁদের অগ্রিম বুকিং করে নেওয়াই ভাল। এই শীতের মরশুমে সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে লক্ষ্মীসাগর ইকোহাট ।
বুদ্ধদেব বেরা